মর্ত্য সৃজনের পশ্চাতে রয়েছে বিধাতার কোন্ সুপ্ত অভিলাষ?
মানবের সাথে মানবের নয়, আছে দানবের গলাগলি অভিবাস!
ভালোর উপরে ভালোর নয়, আছে কালোর নিরংকুশ আধিপত্য!
সুরে অসুরে কোলাকুলি, ঢলাঢলি। হায়! অবিশ্বাস্য হলেও অতি সত্য!


নহিলে মানুষ সৃজিয়া খোদা, কেন শয়তানে দিলে সবশক্তি?
তাই কি মানুষে ভজি না আজি মোরা, পুজি সবে অপশক্তি?
শয়তানের খেলায় মজি, এমনকি পশ্চাতে রাখি খোদ স্রষ্টা!
ধর্মপ্রচারক তাই বিসর্জিত আজ, গডফাদার হয় বোধ দ্রষ্টা!


সকলে মিলিমিশি কর্ষিয়া অহর্নিশি, তবেই ফলে ভবে শস্য-রতন।
হায়! আগাছা বাড়িয়া উঠে যথা-তথা, গ্রীষ্ম-বর্ষায়, যখন তখন!
উপকারী জীব রাখিতে সজীব, নাশি দেহরুধির শুষি ঘর্মজল।
মশা-মাছি-ছার অকারণ বাড়, ছোটে ঝাঁকেঝাঁকে যেন বর্মদল!


করি কত কারসাজি গড়ি ফলদবৃক্ষরাজি, জোটে তবে পথ্য-আহার।
বনজবৃক্ষ বাড়ে অযত্ন-অনাচারে, অশুভশক্তির কী প্রচন্ড বাহার!
গড়িতে সুসন্তান কত জনক-প্রাণ, টুটিয়া আপন-জান ধায় অবসানে।
কুসন্তান বেড়ে উঠে ফুটপাতে মাঠে-ঘাটে; মহাস্থানে নয়তো শ্মশানে!


তুচ্ছ অতীব এককোষী জীব, কুইনিনেও রয় সজীব! কী দুর্বার শক্তি!
আর ক্ষুদ্র মশার রুদ্র-নেশায়, ভগ্নদশায় শত মন্ত্রী-আমলা ডাক্তার-বদ্যি!
অসুরের সুর এমনই মধুর, ভাবের ক্ষোভে লাভের লোভে ধায় বহুদূর!
পুছবেনা কানে রূচবেনা প্রাণে, কল্যাণের পানে যতই সুধায় কুহুসুর!


গড়িতে মানবমন নাহি পায় আরাধন, নাশিতে মিলে শত চিত্তসুখ!
অকারণ জীবননাশে, অন্তর হরষে হাসে, জীবন বাঁচাতে যত রিক্তবুক!
গুজবের হুজুগে লব্ধ সুযোগে, নরবধেও আজ বোধহীন আহা মানব!
ইবলিশ হাসে আদিম উল্লাসে, গড়িয়া মানবে আজ রুদ্র মহাদানব!


পশুসম আচরণে সতীগর্ব হরণে, লোলুপ দৃষ্টি হানে মহান শিক্ষক!
শৃগাল যেরূপ মুরগী পালে বেড়ায় সেরূপ শস্য গিলে, রক্ষকই হয় ভক্ষক!
তুচ্ছাতিতুচ্ছ কারণে ডেকে আনে মরণে, পরাণে নাহি বাধে দু:খবোধ!
মজে পরকীয়ারঙ্গে ভার্যা হন্তে অর্ধাঙ্গে, সর্বাঙ্গে চাহে সত্যের কণ্ঠরোধ!


আছে দেহে মন মানুষ তাই আদম, সেই মানুষের কেন করো না সাধন?
স্বার্থের আশে হিংসার বশে, কোনজন নাশে মসজিদসম মনের বাঁধন?
অসুরে না পুজি সুরে চলো খুজি, ভুল বোঝাবুঝি হোক চির অবসান।
মানবতার সুর মনে বাঁধি মোর, নাশিয়া কসুর আজি প্রসারি ইনসান।।