যখনি ছুঁতে গেছি -পিছু পিছু যোগ্যতার নিরিখে কিছু প্রশ্ন,
বুঝে গেছি আমার নয় নাগাল।
ব্যর্থতার গ্লানির নাগপাশ ঝাঁকুনি দিয়ে ক্ষান্ত হয়ে গেছে,
সেখানে যবনিকা দেখে চিনে নিয়েছি ফের!


বুঝে গেছি আমার কপালে নেই।
ফলাফল অথবা অধরা আরো যা কিছু ছিল
স্পর্শ করতে গিয়ে বিড়ম্বিত হয়নি সময়,
আমার ছিল না বলেই পাতা উল্টিয়ে যাই চোখ বন্ধ করে আজো!


অতিকায় জন্ম নিতে পারি নাই রঙে এবং ঢঙে।
সুখের কবলে বিলীন হয়ে গেছে অপারগতা আর অপ্রাপ্তির ভূমি।
নাগালে ছিল না বুক, বুকের ভিতরের স্পন্দন,
ছুঁতে পারি নাই হরণ করতে পারি নাই কোন লাজ।


অতঃপর যতসব প্রসব বেদনার প্রহর গত হয়ে গেছে
সেখানেও আলো দেখে নাই প্রণয়,
একটু ছোঁয়া মিলে নাই সবাই যা চায়;
সফলতার বৃন্তে দেখতে পাই নি সেই লাল গোলাপ।


আমার কাছে হয়তো সাবলীল এক অভাববোধ নিয়ত ধনী করে
রেখে দিয়েছে মাথা!
কারো কাছে চাইতে পারি নাই আজো- কেন ভালোবাসবে না ?
কেন বিচ্ছিন্নতা মানে মনে হয় নিজেকে খুঁজে পাওয়া?


বেকারত্বের অন্ধকার রাতে কতদিন খুঁজে নিয়েছি মানবরূপ
আমি মানুষ হতে চাই; যদি পারি কোনোদিন-
বিচ্ছিন্ন করে দেব কারো দুঃখ বোধ ক্ষণিকের তরে হলেও।
সেও বুঝি বড় বেশি চাওয়া ছিল আমার!


একদিন দুয়ারে দুয়ারে খুঁজে ফিরেছি যে দৃষ্টি
আমার ছিল না দখলে নেওয়া সময়
ছিল না কর্ম, ছিল না বুঝতে চেয়েছিলে যা
সেই হতে আমি আজো বয়ে বেড়াই সুখ স্মৃতি ধরে রেখেছি যা।