মনের খোরাক যুগিয়ে যে হাঁসি হাঁসতো পাখি
সেই হতে বন্ধু হয়ে গেছি ।  
একসাথে দৌড় দিতাম যে পথে
স্কুলের মাঠে এক ক্লাস শেষে ডিগবাজি;
কত ভালো বন্ধু ছিলে তুমি।
জাম্বুরা ফুটবলে কত পারদর্শী সেই যে তুমি আমি,
স্কুলের পাঠ চুকিয়ে দিয়ে করেছ ফেরি
কি নাম ছিল তোমার মুক্তা পাখি ।


তোমার মুখে শোনা সিনেমার কাহিনী
অবশেষে ছুটেছি পিছু ধরি।
ভিসিপিতে দেখেছ আজ আরও কত কি,
জিতেন্দ্র আর রাজেশের সেই কাহিনী।
কত বেশি সুখী তুমি-
কত বেশি দুরন্ত ছিলে তুমি কিশোর,
কে ডাকত তোমায় ডাহুক পাখি?  


কত চোখ ফাঁকি দিয়ে চলেছি একা,
তুমিও ছিলে- গাছের ছায়ে কি বলেছি তাকে;
সেই মুচকি হাঁসির কালজয়ী বিশ্লেষণে
কত যে গিয়েছি ভাসি তোমার পাশাপাশি,
ধরিয়ে দিতাম হৃদয় যখন তখন, কত বেশি সমব্যথী!
কি নাম ছিল তোমার ডেকেছি রজত পাখি।


কত দিন মিছিলে মিছিলে তুমি দিয়েছ শ্লোগান!
আমিও দলে ভিড়ে ছিনিয়ে নিয়েছি আপদ,
তুমি তো বন্ধু ছিলে ঢের বেশি
মনের খোরাক গাইতে গিয়ে টেক্কা দিয়েছ ডাকি।
উনত্রিশে'র ধোঁয়ার আসর ভুলতে পারি'নি,
কত বেশি স্বার্থপর বনে গেছ তুমি
কি নাম ছিল তোমার -ডেকেছি উদাস পাখি!


কত দিন একসাথে ভ্রমণের বাসে
অথবা পড়াশুনার ক্লান্তি ভুলে যেতে হেঁসেছি,
রোকেয়া হলে কতবার গিয়েছি ছুটি।
জেন্ডার সমতা তখনও ঠিক বুঝে আসেনি,
কত বেশি সুবিধা দিতে পারো ভেবেছ তুমি।
তোমাকে সেই বন্ধু নামে ডাকি,
কত দূরে রয়েছ গিয়েছ ভুলে সুখ পাখি ।


প্রতিদিন কাছাকাছি এখন যার কথা শুনি,
তেমন করে বলি নিয়ত আমি দিনদিন
-কত বেশি হাঁসি খুশি,
আর এই সব দিন রাত্রি কাটে
মা-মনি অথবা আব্বু নিয়ে,  
সমবেত মনের খোরাক সুখ দুঃখ
এরাই এখন আমার সেই বন্ধু পাখি ।