বন্ধু তোর চকচকে এপ্রোন
স্বপ্ন আবির মেখে দেয়,
চড়াই উতরাই কত তবুও শেষ হয় না দেখা।
বিধাতার কাছে প্রার্থনা ছিল কত-
সমুদ্রের বেয়ে যেতে পারি,
কত ফুল অপেক্ষায় মালা হবে গলাতে তোর।


বন্ধু তোর আমন্ত্রণে ভরপুর জমানো ভাব,
শেয়ার না করে কি করে থাকা যায়?
দুদিন পরে সংসার আর চাকরি সেবা
ভালোবাসায় ভুলিয়ে দেব ব্যস্ততা।
চাহনিতেই চনমনে হবে সেই তুমি,
তোমার পেশা চকমকে।


স্বপ্নেরা রয়ে গেল স্বপ্নে।
হিংস্র ধর্ষকেরা ঘুরে ফিরে সভ্যতার বুকে,
খেয়ানত করে বসে বিশ্বাস আমানতের।
পৃথিবীর ইতিহাসে বারংবার হেন বর্বরতা ধর্ষকের,
মেলে না মুক্তি চেয়ে দেখি বিস্ময়ে,
কত স্বপ্ন ভাঙে অবর্ণনীয় বেদনার বালুচরে।


বন্ধু তোর চকচকে কাফনে মজে কান্না,
বুকের গহীনে যে কি যন্ত্রণা,
পৃথিবীতে কোন মন্ত্রণা নেই  ভুলাতে পারে। এরপর
কোন শোক নেই আর প্রেমিককে স্পর্শ করতে পারে।
কোন মা নেই যে ধর্ষকে দুগ্ধ দিবে,
কোন পশুও নেই এমন তাকে রাখবে সমাজে।


ধর্ষক সেতো পশুও না মানুষও না,
দোহাই ওদের অধিকারের কথা বোলো না।
যত ফুটো আছে শরীরে ওদের
গলন্ত সীসা পুরে দেওয়া হোক সবার সামনে।
কুতুবমিনারের পাদদেশে শুইয়ে
ইতিহাস লিখে দিতে হবে ধর্ষণের শাস্তি কাকে বলে।