উপমা সংকট
আহম্মেদ রফিক


একটা কষ্ট কে বয়ে বেড়াই যার কোন উপমা নাই
তুমি আর টানতে পারো’ না আগের মত
হাঁটতে হাঁটতে চলে যাই গন্তব্য বিহীন
নদী তীরে যেতেও বুকের ভিতর আগ্রহ জমে না
কেবল হাঁটতে থাকি -কখন বাজারে পৌঁছে যাই


মাছের বাজার যখন খালি পড়ে থাকে, কেবল গন্ধ বাকি ….
কত বেশি মনে লাগে উপুড় করে রাখা ফাঁকা ঝুরিগুলো
ডাক্তারের দোকানে হালখাতার রঙিন কাগজ দেখলে মনে হয়
আমার মত দুখী, নইলে ছিঁড়ে গিয়েও কেন ঝুলে থাকবে
দোল খাবে তোমার ফুঁ’য়ের সমান বাতাসে


মাথার মাঝে একপ্রকার বিরাগ
কোন স্বপ্ন নেই, ধার-দেনাও বাদ পড়ে গেছে
আগের ঋণ শোধ করা হয়ে উঠেনি; এখনো পাওনাদার তুমি
কেমন করে পালিয়ে বেড়াই, অদৃশ্য হয়ে যাই -তোমার চোখে
অতি আনন্দে হাঁসতে ভুলে যায় মানুষ; অথচ-
বুকের ভিতর চাঁপা আগুনে এখন শৈত্যের নীরবতা


যত কষ্ট গায়েব হয়ে যায় অন্য কোন কষ্টের তীব্রতায়
এক একটা কষ্ট কত বেশি মূল্যহীন হতে পারে তার কাছে
আমার মাঝে তাই আরও অনেক ধারণা হিমু এবং নীল পদ্ম
হিমুরা কত বেশি সুখে আছে; তুমিও!
আমার উপমা সঙ্কট ঘনীভূত হয় ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা নিয়ে