পথভ্রষ্ট এক পথিকের দিকে তাকিয়ে হাসে এক সূর্য কন্যা!
সূর্যকন্যার কানে দুল ছিল বাহারি রঙের—
হাতে নীল চুড়ির ঝড়মরে শব্দ আমার মনকে মাতাল করেছে — সূর্যকন্যা সেদিন একটুও খেয়াল করেনি।


আমি তার চুলের উড়তে দেখা হাওয়ায় ভাসিয়ে যাওয়া সেই নতমুখ!
যের প্রেমার যুগলবন্দী হয়ে প্রেম কারাগারে আটকে ছিলাম কয়েক যুগ।
সূর্যকন্যা আজ হয়তো হাসতে জানেনা!
কি হয়েছে এমন?
তার ফানুশ মনে কান্না ঘেরা বাঁচছে কিসের মতো।


একদিন জানা গেলো ভালোবাসতো এক রাজপুত্ররে!
দুঃখীনি সূর্যকন্যাকে রাজা সহ্য করেনি, তাই কন্যার মনে আজ দুঃখের বৃষ্টি ঝরে।


কে যেনো তাহারে বলিছে ভালোবাসিবার কথা—
আজ তার মন নাই যেনো ঝড়ে পড়া পাতা—

সূর্যকন্যারে নিজের করে নিতে দুঃখ জানলাম তার;
শুনলাম রাজপুত্র দুঃখীনির দেহখানি ছুঁয়েছে ঘর বাঁধবে বলে—
দুঃখীনি যৌবন দিয়েছে,শরীর দিয়েছে, আরো দিয়েছে প্রাণবন্ত মন!
আজ সে কাহার বাতাশে দুলাবে এ মন।


সূ্র্যকন্যারে ভালোবেসে আমিও দিয়েছি এই হৃদয়স্পন্দন!
স্বপ্ন বুনেছি,আশ্বাস পেয়েছি গড়তে যৌবন!


একদিন তাহার রাজপুত্র আসিলো আমার ঘরে!
দূর দেখলাম কি যেনো বলিছে কানে কানে আমার সূর্যকন্যারে—


চুড়ি নিয়ে এলাম তাহার জন্য আরো সাথে নুপুর!
এসে দেখি সূর্য কন্যা নেই— চলে গিয়েছে বহুদূর!,
তাই দুয়োরে দাঁড়িয়ে রয়েছি তাহার আপেক্ষায়!
আসবেনা জানি, তবু মন নাহি চায়—


আজও জানিনা সেই রাজপুত্র কানে কানে কি বলিলো সূর্যকন্যারে,  
আমার ঘর আন্ধ্যাইর করে সে তাহারে আলো দেখাইছে!
সূর্যকন্যা  আর কতদিন থাকবো যৌবনের বিচ্ছেদে?