তোমার দীঘল কালো চুলের আল ধরে হাঁটতে হাঁটতে -
আমি চলে যাই বিস্তৃত ঘুম গ্রামে-
সমস্ত পৃথিবীর ক্লান্তি নিজের করে শ্রান্ত দেহখানিরে বিছিয়ে দিই
প্রকৃতির বিছানো শীতল বিছানায়-
শান্তির ঘুমে!


দুচোখের ছন লাগানো পাতা এক করে-
বন্ধ করি পৃথিবীর বায়োস্কপ দর্শনের একমাত্র বেলকোনি।
সমস্ত নির্ঝাট মুক্ত হলে শান্তির পরশ বুলিয়ে দেয় আলতো ভারে-
অনুগত ঘুম পরীরা-
যেন জান্নাতুল ফেরদাউসখানি!


সেখানে অতিদূর বহুদূর হেঁটে যাই-
মোহমন্ত্রে সোনালি নাঙ্গা পায়-
কখনো ছুটি কখনো হাঁটি ঘুঁটি ঘুঁটি
যখন যেমন ইচ্ছে মন যাহা চায়-!


সেখানে নেই কোন দায়ভার
কর্তব্য নামক পৃথিবীর বিশাল পাহাড় কাঁধে
আমাকে ছুটতে হয় না বা আমাকে কেউ ছুটায় না আর-
ইচ্ছায় অনিচ্ছায় কেউ কি আর বাঁধে?


আমি মেলে দিয়ে আঁখি
সুন্দর আর সুন্দর কেবল চেয়ে থাকি-
দেখি দু’টি পাখি -
তোমার নাম আমার নাম করে ডাকাডাকি!


সমস্ত চারিদিক কেবল বাগান আর বাগান
ফূল ফল পাখি আর নানান রঙ সুপেয়পানি
কিচির মিচির কুলু কুলু করে কানাকানি
সুগ্ধ আনন্দ আর ছন্দে ভরে শ্রান্ত প্রাণ!


আমি হঠাৎ পাওয়ার আবেশে আবিষ্ট হয়ে নিজেকে হারাই
নিজেরই অজান্তে থমকে গিয়ে আবার অজান্তে পা বাড়াই
আমি যেন এক মোহাবিষ্ট ,আমাতে নেই আর আমি
আমি যেন পূণ্য করার দায়ে সম্মানিত এক স্বর্গীয় আসামী!
আমাকে সুখ শান্তি আনন্দ আর নানান ছন্দ কেবল সম্মুখে তাড়ায়-


পতেঙ্গা, চট্টগ্রাম।