সুখপাখিটা হারিয়ে গেছে অভিমানে ফাঁকি দিয়ে...
বুকের ভিতর অষ্ট প্রহর কষ্ট পাহাড় ধারণ করে
কাউকে কিচ্ছু বুঝতে না দিয়ে..
আড়াল করে ‘ বিষাদ সিন্ধু’ মজবুতহীন মলিন ডালে


সুখপাখিটা চলে গেলো অবেলাতে খুব সকালে !


শত জ্বালা তিরষ্কারে দিন কেটে যায় অনাদরে
বিষন্ন মনে হাসি মুখে নিরবে সব সহ্য করে....
স্বামী সোহাগহীন অবহেলায় চোখ ঝরিয়ে অন্তরালে
কটাক্ষ আর তুছ্ছ হেলা বয়ে গেলো কালে কালে


সুখপাখি তাই চলে গেলো অভিমানে খুব সকালে !


শত জ্বালায় চিতার কয়লায় জীবন করে অঙ্গার
অপমানে পদে পদে অসম্মানে সব হলো তাঁর ছারখার
শোকে ভোগে চোখ ঝরিয়ে কষ্ট নদীর নোনা জলে
মনের দাহে সুখ পুড়িয়ে স্বপ্ন শত যায় বিফলে


সুখপাখি তাই চলে গেলো অভিমানে খুব সকালে !


রোগ বলাইতে সেবা বিহীন; পুত্র কন্যার স্নেহ হারা
যার কেহ নাই জগত জুড়ে একমাত্র ভাইটি ছাড়া
সে কেন আর থাকবে বলো মায়াহীন ক্ষীন বলে
পাশে যখন নেই কেউ আর রাখতো যাদের আঁচল তলে


সুখপাখি তাই চলে গেলো অভিমানে খুব সকালে !


দুটি কন্যা চারটি ছেলে অজান্তে যায় অবহেলে
দুটি কন্যা দুটি ছেলে সতীন হতে ও জুটে কপালে
কিছুই দেয়নি দশে মিলে ভাব সবারই টালমাটালে
ঠকেছে সে তাই বারে বারে সবার কাছে নানান ছলে


সুখপাখি তাই চলে গেলো অভিমানে খুব সকালে !


পায়নি সম্মান শুধু অপমান প্রকাশ্য আর গোপনে
নিত্য দিন শত যাতনায় জ্বললো সে অকারণে
দেখলো সবাই জানলো সবাই চুপ থাকলো তাবিজ গুণে
সব থেকে ও সব হারালো ভাগ্য হারা সে এ জীবনে!
একা কাঁদে ঘরের কোণে মনের জ্বালা কাউকে না বলে-


সুখপাখি তাই চলে গেলো অভিমানে খুব সকালে !


বাপহারালো বোন হারালো মা হারালো শেষে
মধ্যকালে স্বামী হারলো হায়রে কপাল দোষে
বড় ছেলেও হারিয়ে গেলো নানান ফাঁদে ফেঁসে
এতো ব্যথাভার সইলো না আর মরল কলিজা গলে


সুখপাখি তাই চলে গেলো অভিমানে খুব সকালে !
সুখপাখিটা হারিয়ে গেছে অভিমানে ফাঁকি দিয়ে...
সুখপাখিটা চলে গেলো অবেলাতে খুব সকালে !


‘‘ রাব্বির হাম হুমা কামা রাব্বাইয়ানির ছাগিরা’’


পতেঙ্গা, চট্টগ্রাম।