কেউ হাসেনি , সময়টা ফুরিয়ে গেছে
নিজের মতন করে মনের আনন্দে কাউকে হাসতে দেখেনি ।
কষ্টের সময় থেকেই  শুনে আসছি সে আসবে
আমাকে তার অন্তরের কথাগুলি শুনিয়ে যাবে ,
তারপর অনেক জোছনা অজানায় পারি দিল
তার প্রহরের ছায়াও মেলেনি ।
জীবনের শেষ সময়েও আমি অপেক্ষায় আছি ।
মন নীরবে চুপি দিয়ে বলে
আশায় থেক বন্ধু , তোমার চোখে রঙিন ছবি একে দেব ,
যার রং টি হবে সবুজ লালের পতাকায় স্বাধীনতার প্রতীক ।
আচ্ছা বন্ধু আমি আর কতদিন বোকা থাকব
আমার মাথার চোল পেকে সবার চাচা হয়ে গেছি ,
বাড়ির বড়মিয়া হিসেবে এখন আমার চলা
আর , কিছুদিন পরে হয়ত আমার যাবার সময় হয়ে যাবে ,
এখনও তুমি আশার কথার বলছ ।
একটু পেট ভরেও খেতে পারিনি কোনদিন
দিনের পর দিন কত উল্লাসের মধ্যে আয়োজনে ,
কত কুর্মা , পুলাও কুকুর ছানার মুখে তুলেছে ,
কুকুরের মতন বাড়ির কোনে থেকে তাকিয়ে আছি
কত রঙের খাবার নতুন রংধনুর মাঝে যেন
নতুন সুখে নতুন সেজে চোলের খোপায় ফুল দিয়ে ,
সাজানো মালায় গাথাপরা 'সবর্ন রমণীরা'
কেমন করে মনভোলানো হাসিটাই না হেসেছিল ।
ভাবছ কুকুরের কথাকে এখানে মন শান্তির বসবাসের আবাসনের -
উর্ধতন কর্মকর্তাকে নিয়ে একটু উপহাসয় নাহয় করলাম ।
এতে যদি বিন্দু মাত্র ক্ষতি হয় আমার কিছুই করার নেই ।
আমার দিকে কেউ ফিরে দেখেনি ।
মা কথায় কথায় বলতেন , একদিন তুমিও--।
যা এমন অনেক দূরে , অতীত ঘটে যাওয়া ঘটনা
আমি যেন আবার ফিরে নিবানো ঝাপসায় কল্পনায় দেখি ।
মনের কথাগুলো শুনে প্রেমিকা বলেছিল -
যেদিন চোখের ইশারায় মনভোলানো কথাগুলি জানা হবে
যেদিন আর চোখের পানি কান্নায় পাবে না দেখা ,
সেদিন কল্পনায় আমায় পাবে গোপনে মরিয়া ।
প্রেমের জন্যে আমি ব্যাকুল ।
সর্বহারা হয়ে সকল আদর এনেছি দেব বলে
এখন শুধু যাবার অপেক্ষার সময় ,
তবুও মনের আনন্দে কেউ হাসেনি ।।




                             রফিকুল ইসলাম ( রয়েল )