মাথার উপরে এক শয়তানের কু-বিশাল ছায়া।।
কুচক্রী চক্রের দশা হয়ে মেলে আছে তার মহাজনী খাতা।।
আমি এই দৃশ্য থেকে মুক্তি চাই, এই সব কুমন্ত্রের মায়া।।
ছিন্ন করে হতে চাই অদৃষ্টের আপন বিধাতা।।
অথচ ছায়ার সাথে যুদ্ধ করা যায় না কখনো।।
ছায়াধারীকেই তাই প্রত্যহ সন্ধান করি আমি।।
নিজেকে কঠিন স্বরে বলি, অস্তিত্বের বীজ বোনো।।
নিজের গভীরে আর নিজে আঁকো নিজের আগামী।।
যদিও জেনেছি সব শয়তানেরা জন্ম দেয় অপচ্ছায়াজালে।।
এমন কুটিল স্বত্বা যার পরে ভর করা যায়।।
ছায়াধারী নিজে বসে সেই সব স্বত্বার আড়ালে।।
নিজের নামের ঢোল নানা ছন্দে স্বহ স্তে বাজায়।।
আমি তাই অবিরাম ঘুরিয়ে তুলির তলোয়ার।।
সূর্যের ধারালো রশ্মি দিয়ে আঁকি অজেয়-জীবন।।
অপচ্ছায়া ছিন্ন করা সেই অস্ত্রে ভরি অস্ত্রাগার।।
কেবল মানুষ জানে মানুষেরা আনে শুভক্ষণ।।
কেবল মানুষ পারে অপচ্ছায়া পাড়ি দিতে ফের।।
অজেয়-জীবন সেই মানুষেরা পারে তীক্ষ্ণ ধারালো রশ্মিতে।।
পুড়িয়ে কুটিল স্বত্বা মুখোমুখি হয়ে শয়তানের।।
তাকেও নিহত করে কুচক্রীর চক্র ভেঙে প্রতিশোধ নিতে।।
মানুষের অস্ত্রাগার অস্তিত্বের মহীরুহ সাজাবে এখানে।।
মধ্যাহ্নে শীতল ছায়া কী হয় তা বটবৃক্ষ জানে।।