আমি পাই না ছুঁতে তোমায়Ami Paina Chute Tomay

বিবর্ণ এক জীবনকে ঘিরে অন্তিম আলোর অপেক্ষা। তীব্র অনুশোচনা লৌকিক সমাগমে। আলো আঁধারের মিছিলে নির্মল অস্তিত্বের খোঁজ। জলহারা শুভ্র মেঘের দল। শরৎ নীল-নির্মল আকাশকে অহেতুক ছুঁয়ে দেখার চেষ্টায় বোকা পাখির ঝাঁক। নিষ্প্রাণ দেহ কাঠামো। যন্ত্রের মাঝে নিশ্চল। চোখ দুটো খরখরে শহুরে অশ্লীলতায়।
সাইফুল্লাহ খালেদ তেমনি এক শহরে খুঁজে পেয়েছে রোমাঞ্চকর, লৌকিক ও নিষ্প্রাণ অবিভক্ত কয়েক গল্পের অস্তিত্ব। রুপকথার মত নিজেদের জীবনে বয়ে চলছে অগণিত ঘটনা। নাম মাত্রই বেঁচে থাকছে শত আক্ষেপ নিয়ে ছুঁতে না পারার। সেটা হোক ভালোবাসা কিংবা ভালোবাসার মানুষকে। ছুঁতে না পারার আক্ষেপটাই মুখ্য।
'আমি পাই না ছুঁতে তোমায়', গল্পটিতে জোনাকি, সুরভী ও আদিবার জীবনে এসেছে বহু ঝড় । দু:দুর্দশাময় এক দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হয়েছে তাদেরকে। শুধুই না পাওয়ার ব্যাধিকে ঘুচাতে একবার ছুঁয়ে দেখার প্রয়াস। নিজের ভালোবাসাকে। কারোই জীবন পরিপূর্ণ হয় না। অপূর্ণতা নিয়েই বেঁচে থাকে পূর্ণতার আশায়। আমি পাই না ছুঁতে তোমায় তেমনই এক আক্ষেপময় গল্প। স্বপ্ন বয়ে বেঁচে থাকার গল্প।

উৎসর্গ করছি সেসকল সত্ত্বাদের,
যারা আমার চলার পথকে করেছে মসৃণ। অসময়ে ভেঙে যেতে কিংবা পিছিয়ে পড়তে দেয়নি আমায়। ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা নিবেদন করছি সেই পবিত্র মহত্ত্বদের প্রতি।

কৃতজ্ঞতা আমার সৃষ্টিকর্তার প্রতি। যিনি আমাকে অত্যন্ত সুন্দর এক জীবন অর্পণ করেছেন।