জন্মইছিলাম তো দুঃখ লইয়া,খুনি হইয়া
জীবনের তাগিদে বড় হইলাম
তারপর আবার ছোট হইতে চাইলাম
পারলাম না,
পারবোই বা ক্যামনে, সময়ের অস্রাঘাতে কত কি যে হারাইলাম
বড় হইতে গিয়া মানুষ হারাইলাম
ছোট হওয়ার ইচ্ছায় নিজেরে হারাইলাম
চাঁদ চিনলাম তারা চিনলাম, জোসনার আলো চিনলাম না;


মায়ের বুক খালি কইরা পাকস্থলী ভরাইলাম
এরপর টাকা চিনলাম, টাকা প্রতি ঘৃণা জন্মাইলো
নিজের মত বাঁচতে চাইলাম, সমাজ আইসা বাধা দিলো
এখন সমাজরেও ঘৃণা করি, নিজেরেও সহ্য হয় না
হ্নদয়ে প্রণয় ঘটলো, প্রেম বুঝলাম
কিন্তু প্রেম পাইলাম না;
প্রেম কাঙ্ক্ষিত স্বর্গ খুঁজে আর আমি খুঁজি জ্ঞ্যান আর ধ্যান।


তর্ক করলাম, নিরাশ হইলাম
জগৎ-সংসারে বিষন্ন একা হইলাম
মায়ের কোলে মাথা রাইখা দুঃখ ভুলার অধিকার হারাইলাম
এরপর আমার উপর অধিকার ফলায় শূন্যতা
হতাশ হইতে গিয়া নিজেরে মাইরা ফেলতে চাইলাম।


ঘোরের বসে কবিতা লালন করলাম
এখন সেই কবিতাই আমারে বাঁচাইয়া রাখছে
কবিতার খোঁজে জ্ঞান সন্ধান করলাম
এরপর উন্মাদ হইলাম
জ্ঞানের খোঁজে সাধনা করলাম
এখন আমি সাধক; মানুষ আমারে দেইখা হাসে
কবিতা লিখলে দুঃখ ভুলি
দুঃখ ভুললে কবিতা আসে না,
তাই দুঃখ আর কবিতা দুই'টারেই আপন করলাম।


প্রেম পাইলাম, পুঁজিবাদী প্রেমিক হইলাম
মুদ্রার অভাবে পাকস্থলী খালি
প্রেমিকাও হারাইলাম;
মানুষ আর কি হারাইলে বাঁইচা থাকার শক্তি পায়?


এখন বুঝলাম কবিতা আমি লিখতে পারি না
আমার মৌলিক চাহিদা বলেই তার এত অধিকার
এখন কবি হইলা, খুনি হইলাম
যে রাতের গভীরে জন্ম নিছিলাম সেই রাতের লোভে পড়লাম
মাঝে মাঝে ভাবি; ক্যান জন্ম নিলাম
মানুষ ক্যান বাঁইচা থাকে।