কত দূর যেতে চাও তুমি, দূরে আর কত দূরে
কত শব্দের মিছিলে আলো হও আগুন জ্বালিয়ে
কত রক্তের গভীরে মিশতে চাও বলো
সূর্য হতে চাও রোদ হারিয়ে
ব্যাথা ভাঙতে চাও প্রেম সরিয়ে
আগুন নিভিয়ে আবার পোড়াও নিজেকে
মিছিল থামিয়ে শব্দের আল্পনা বানিয়ে
কোথায় যেতে চাও তুমি?


রেলিং হারানো ছাদের প্রান্তে, রোদের দেয়ালে
ছায়াতে লাশ খুঁজো কার,
পাহাড়ের চূড়ায় তুমি, চিৎকারের প্রতিধ্বনি
যদি আর ফিরে না আসে
তবে ফিরবে কি তুমি?


তোমার লাশ যদি, পাহাড় থেকে পড়ে
আবার বেঁচে উঠে, তবে মরবে কি আর তুমি?
ঝর্ণা হতে চাও পাহাড় হারিয়ে
বৃষ্টি হতে চাও মেঘে রোদ্দুর ডেকে
বৃষ্টি থামিয়ে আবার ভিজতে চাও রোদে
পাহাড় কেটে আবার ঝর্ণায় চাও স্নান
কি চাও তুমি?


দক্ষিণ বাতাসে, দুঃখ হারিয়ে
চোখ নিভিয়ে দেখো আলো
অন্ধ মানুষের, স্বপ্নে দেখা আলো
ঘুম ভাঙিয়ে দাও আঁধার
ঘড়ির কাটা হয়ে চাকা, চাপা দেয় তোমায়
পিষ্ট করে তোমার দেহ, কবর নেই আত্মার
কেমন মৃত্যু চাও তুমি?


সময় ফিরিয়ে, রাতের শেষে
উষার দিকে যাও হেটে
ভোর ফিরবে না আর, সূর্যের অন্ধকার
সব আলো দিয়ে দাও অন্ধের চোখে
মৃত্যুর নাম প্রজাপতি, আকাশের নাম তুমি
স্বর্গ থেকে নেমে এসে হবে নরকবাসী


কে তুমি? কি চাও বলো আর
কেমন পৃথিবী চাও, কবিতায় এত হাহাকার।