একদম শূন্য হয়ে আছি
নিজেকেও আর সহ্য হচ্ছে না
মরে যেতেও সাহস লাগে
বেঁচে থাকতেও সাহস লাগে;
ভীষণ ভীতু হয়ে বসে আছি।


কবিতা'রাও আমাকে বাঁচাইয়া রাখতে রাখতে
নিজে শূন্য হয়ে যাচ্ছে
তারাও তো ক্লান্ত হয়
একটা জ্যান্ত মানুষের বোঝা আর কত বইবে
আমার তো অনেক ঋন হয়ে গেল।


সমুদ্রের দান করা লবনের ব্যবসায়ী হইলাম
অথচ আমি নিজেই ফানসা
কৌটা ঢাললাম, ঝাকাইলাম
অতপর পানি দিয়াও ধুইলাম
তবুও জীবনে স্বাদ ফিরা আইলো না।


ক্ষত, ক্ষত,  রক্ত, রক্ত
লাশ, লাশ
চিৎকার করতে করতে বেড়িয়ে এলাম
ঘরের ভেতর কে যেন ঝুলে আছে
আমি খুন হয়ে গেলাম
বিশুদ্ধ নেক্রপলিস এ আমার খুনি আমি নিজেই
মৃত্যু নিশ্চিত করতে বুকের ভেতর
বিষাক্ত ছুরি বিধে দিয়েছি।


মিথ্যে,মিথ্যে, ভূয়া,ভূয়া
অপবাদ, অপবাদ
আমি আত্মহত্যা করিনি
নিজের খুনের শাস্তি পেয়ে ফাঁসিতে ঝুলছি
পায়ের নিচের টুলের পায়া ভাঙা ছিলো
তাই আমি সাহস পেয়ে গেছি।


আহ! বিরতির দিন,
বিষণ্ণ ছুটির জীবন
আহ! এই নেক্রপলিশ
এখানে শুয়ে শুয়ে ভাবছি
বাইরের এপিটাফ পইড়া যদি কেউ আমারে খুঁজে
এই গোরস্থানের চাপায় কে কারে পাইবো।


ঘুমহীন রাত হয়ে জেগে আছি
কেয়ামত পর্যন্ত আর কত ঘুমাবো
রাত নিজেও বৃদ্ধ হয়ে গেছে
নেক্রপলিস এ কেউ স্বপ্ন দেখে না
শুধু আফসোস আর আফসোস।


আবার ফিরতে পারলে
খোদার লাইগ্যা আসমান নিয়া আসতাম
সূর্য বিরতির দিন, নরকের আসন্ন দিন
এই নেক্রপলিসে দিন নেই
রাতই দিন, রাতই রাত।


অকৃতজ্ঞ, অকৃতজ্ঞ
অমানুষ, অমানুষ
নেক্রপলিসের পাশের গাছটি
কেটে ফেলছে কিছু ছাগল
জানিনা গাছটি ক্যান অমানুষ বললো
নেক্রপলিসে অক্সিজেন নেই
সেই যুদ্ধবিরতির দিন।


দুঃসংবাদ, খুন,
দাঙা, ধর্ষণ
দৈনিকের প্রথম পৃষ্টায় আজকাল এই
আহ! সংবাদ বিরতির এই নেক্রপলিস
গায়িকা বিরতির বিজ্ঞাপন
আলপিনের খোঁচা, আর কেরোসিনের ঘ্রান
পাশের সমাধিতে এপিটাফ নেই।


আহ! নেক্রপলিসে কেউ আমি
কেউ তুমি
কেউ পড়ে আছে, কেউ আসবে
নেক্রপলিস বিরতির দিন।