বাইশে শ্রাবনের এ বারিধারাস্নাত প্রভাতে;
তোমাকেই স্মরি হে কবীন্দ্র।
তোমারই রচনায়,
কথায় ও সুরে;
কাব্য সুষমার অপরূপ প্লাবনে
বিভোর আমরা উত্তরসূরী।


আজও ........
এ বাংলার লক্ষ গ্রাম হতাশায়-আশাহীনতায়,
ম্লানমুখ- নতশির। আজও----
অঙ্গ -বঙ্গ -কলিঙ্গের মাঠে-মাঠে,
বোম্বাই-পাঞ্জাব -গুজরাটে
আশাহীন-ভাষাহীন মানুষের ভীড়!


আজও ........
পারিনি মেলাতে মানুষে-মানুষে,
রক্তঝরে দেশে-দেশান্তরে;
কর্মজীবী-শ্রমজীবী মানুষের শোণিতস্নাত ভারততীর্থে
আমিত্বের অসম অহংকারে,  
'কালো ঘোমটার নীচে
উপেক্ষার আবিল দৃষ্টিতে'
নগ্ন করি ' আপন নির্লজ্জ অমানুষতা।'
'মানহারা মানবীর দ্বারে' দাঁড়াতে পারিনি।


'কর্মে ও কথায় সত্য আত্মীয়তা' র  
মাটির কাছাকাছি কবির
তালাশ করি আজও.....
মুক-ম্লানমুখে দাঁড়ায়ে;
'শুধু দুটি অন্ন খুঁটি কোন মতে কষ্টক্লিষ্ট প্রাণ'
বাঁচিয়ে রাখা মানুষের মনে,
'ধ্বনিয়া তুলিতে পারিনি আশা;
বলিতে পারিনি,
'মুহূর্ত্ত তুলিয়া শির একত্র দাড়াও দেখি সবে !'


তাই প্রতি বাইশে  শ্রাবনেই;
কবীন্দ্র! তোমারই প্রতীক্ষায়
স্মরি তোমাকেই,
কাব্যে-সংগীতে -পুস্পাঞ্জলিতে।  



রচনাকাল .......০৮/০৮/২০২৩
বাংলা  .......২২শে শ্রাবন ১৪৩০