কোন কথাই আজকাল কথা নয়
কোন গানই নয় গান
কবিতার কোলাহলেও
ঢাকতে পারিনা একাকীত্ব।


দূর হতে কেবলি ভেসে আসে
নূপুরের রিনিঝিনি শব্দ —
আচ্ছা, তুমি কি এখনো নূপুর পর?
হেঁটে যাও বৃষ্টির ছন্দে?
সেই যে শ্রাবণের দুপুরে
মেঘ আর রোদ্দুরের খেলায়
তোমার নূপুরের শব্দে
আমি ভুলে গেলাম বৃষ্টিকে!


তারপর কতো শ্রাবণ গেছে
কতো ভিজেছি বৃষ্টিতে
রিনিঝিনি শব্দে আর
বাজেনি নূপুর।


অলস দুপুরে কান পেতে রাখি
ঠিক শুনতে পাই বাজছে নূপুর
উৎসুক দৃষ্টি ফেরে এদিক ওদিক...
কেউ এলো বলে মনে হয় —
নাহ্, কেউ আসেনি
আসেনি সেই কিশোরী ...


যে গেছে একবার
সে কি আর ফেরে?
আমারো তো গেছে মন
সেই যে কৈশোরে
নূপুরের শব্দে ...
সে কি আর ফেরে?


ভরা যৌবনে
প্রিয় কোন যুবতীর মুখে
আজো ঠিক ভেসে ওঠে
সেই কিশোরী মুখ।
বৃষ্টি নামে —
অঝোর বর্ষণে ভেসে যায় বুক
তৃষ্ণা কি মিটে আর
না দেখে, সেই প্রিয় মুখ!


আজকাল সব শব্দই যেনো
নূপুরের শব্দ
সব প্রিয় মুখ যেনো
সেই কিশোরী মুখ।
আচ্ছা, তুমি কি এখনো নূপুর পর
মনে করো সেই দূরন্ত কৈশোর?


(২৬/০৭/২০১৪, উত্তরা, ঢাকা)