সুভাষিনী এসে চোখ দুটো কপালে তুলে
জিজ্ঞাসিল মোরে;একি!কি হয়েছে গো তোমার ?
সকল মাংসপেশী যেন কেমন কাঁপছে থর থর
হাতের কাগজখানা তাও সিক্ত তোমার অশ্রুজলে।
স্বপনের মেয়ে অর্পনার হয়েছিল অর্পন কত না আড়ম্ভরে
খুব ধুমধাম করে, সে গো অনেক বড় ঘরে।
আছে নাকি অর্থ ওদের ভূরি ভূরি;
আছে দালানকোঠা বাড়ি গাড়ী।
একি হলো গো সুভাষিনী তবে ?
স্বপন আহা আমার বন্ধু স্বপন, করে সকলি বিসর্জন
গড়েছিল গো অর্পনার পৃথিবী,
কত লক্ষী মেয়ে পরীর প্রতিছ্ববি
সর্বোচ্ছ বিদ্যাপীটেও যার হয়েছে বিচরন
আরে কিসের অর্থ কিসের বাড়ি গাড়ী
সেতো নিজেই অর্থের কুম্ভ অমূল্য রতন।
জান সুভাষিনী! এই লোভী পিশাচের দল হলো যে উতাল
রতনেরও ধরেছে দাম, এ নাকি অনেক কম,
স্বপনের যে ধাম রয়েছে বাকি,
বহু দামি ঐসব নাকি  
সেও করিতে হবে অর্পন, না হ’লে সবকিছু হবে যে সমাপন।
হতবাক  আর সর্বশান্ত হলো যে সে
বিধির বিধান যদি এভাবেই থাকে লিখা,
অর্পনার বিলাপে কি আর হবে বিবর্তন
ছাড়খাড় করিল তাই বিলাপের দাবানল মাটির তেল ঢেলে;
ঐ দেখ কাল ধুম্রকুঞ্জ অর্পনার বিলাপ লয়ে চলছে হেলে দোলে।
তাহলে আর কি রাখলে বাকি
এই টুকুই কি সব, চোখের কোলে যে শিশির জমেছে- হে বিধাতা ?
সুভাষিনীর বুক ফেটে ভিজে গেছে ওর ও আঁখির পাতা।