হে নটবর ! এলি কি করে সবার আগে
পিছনে কে দাঁড়িয়ে তোর এ কুসুম বাগে।
সদা বিধ্বস্থ শ্রান্ত ক্লান্ত,আজ যে বড় চাঙ্গা মন
তবে করেছিস কি মালিশ আর সালসা সেবন ?
উতাল পাতাল অবস্থা তোর সদা, অস্থির চোখ মুখ
আজ একি দেখি সর্ব অঙ্গে শান্তি আর অজস্র সুখ।
যার প্রকাশে হয়েছে তোর আজ এই চরম বিকাশ
তবে কেনরে ওকে অবগুন্ঠনের এত শত প্রয়াস?
লজ্জা হায়ার মাথা খেয়েছিস যেন, মনে হয় সবে
দেখিস, ও যেন হারিয়ে না যায় তোদের উপদ্রবে।
জীবন-রে’সে ও চলে গেছে লাগে,অনেক অনেক আগে
ধপাস ধপাস করে পড়ে যাস নীচে, কি হবে আর রেগে।
তারই কৃপায় দেখিলে ভুবন, রাঙালে তোর জীবন,
এমনই সে ঋন হয় না যে শোধ, শুধু রয় গুনকীর্তন।
ছুঁড়ে দিস না ওদের গায়ে, পঁচা দুর্গন্ধ তোর, প্রতিহিংসার দহনে
ছোঁয় না বদনাম তোকে, যদিও প্রমোদলীলায় মত্ত তুই বহুজনে।
ডাকাত, দস্যু, ভন্ড, ধুর্ত, ন্যাকা, এত শত খেতাব পেলে,
তুই কি খেতাব দিলি তাকে, কোনটাই যেন নাহি চলে।
নষ্টা ভ্রষ্ঠা কলন্কিতা দুশ্চরিত্রা, আরও কত খেতাব দিবি তোরা,
যাস নে যেন ভুলে. এসব খেতাব রচনার মূলে ওস্তাদ কারা।
শিল্পী যে সে, করে শুধু সৃষ্টি, তার সাথে মিছে কিসের তুলনা
পরিপূর্ণ পাত্র যে সে, নিস্তব্ধ বাকহীন রয়, শব্দ সে করে না।