গোধূলি বেলায় অন্ধকার যেন জ্যোতিকে করিবে গ্রাস,
আর সেই অস্পষ্ট আলোতে তোমাকে ঠিক মনে হয় নব বধূর মত,
ঘোমটা টেনে লজ্জায় লাল হয়ে বসে আছ।
ঐ যে বাড়ির পশ্চিম পাশে, অনেক পুরনো আম গাছটা,
একেবারে ঠিক ছাতার মত ছড়িয়ে আছে, ওর পাশেই ছোট্ট পুকুরটা,
যেখানে ধবধবে সাদা হাঁসগুলি ডুবু ডুবু খেলছে, ঠিক কপোত কপোতীর মত
আর পুকুরের পারে বসে মোরগ মুরগী গুলি যেন কক‌্ কক‌্ করে দিচ্ছে তালি।
আরেকটু পশ্চিমে গেলেই ঐ যে বাঁশঝারটা যার সবুজ পাতাগুলো,
বাতাসে মাতালের মত পত‌্ পত‌্ করে নাচছে;
বাঁশঝারের ঠিক পিছনেই চুপিসারে উৎসুক নয়নে দেখছি তোমাকে।
কি যে অপরুপ তুমি ! মনে হয়, করি ঘোমটা উম্মোচন, আর তোমার কপালে চুমি;
শিল্পীর মত তুলির আঁচরে, হৃদয়ে বেঁধে রাখি তোমারে।
ভালোবাসি তোমায়, আজও ভালোবাসি।
তুমি যেন আজকাল একদম বদলে গেছো;
নেই যেন আর ছনের ঘর, ওখানে শুধু ইট পাথরের অট্টালিকা
দাঁড়িয়ে আছে ঠিক কাগজের বাক্সের মত, শত শত।
নদীটার আর সেই নীল পানি নেই, সেখানে পঁচা হলদে ঘোলাটে পানি,
আর যেখানে ঐ যে নদীর বাঁকটায়, সবুজ ঘাসের গালিচার উপর বসতাম দু’জনে,
তা আর নেই। যে ঘাটে গরু ছাগল নিয়ে তুমি স্নান করতে আসতে, তাও ও নেই।
অনেক পয়সাকড়ি  হয়েছে বুঝি ? আর যেন পিছনে তাকানোর প্রয়োজন নেই;
বয়স হয়েছে ? বয়স হলে বুঝি ভালোবাসতে নেই ?
আমিতো আজও ভালোবাসি।