বানী, রানী, রবি আর মিষ্টি
তোমরা কেহ যেয়ো নাকো দূরে
ঈদ যে এসেছে একদম নিকটে ;
সেদিন বাবা কহিলেন:
এখন লেগেছে যে বড় আগুন
গরু ছাগলের হাটে।
এবার সকলে মিলিয়া মিশিয়া
হাতে হাত কাঁধে কাঁধ রাখিয়া
করিব ভোজন, গাহিব গান;
পাড়ার আর্ত, পীড়িত, নিঃস্ব, তুচ্ছ
সবাইকে ডাকিয়া আনিব
আর দু’হাতে করিব দান।
এতই যে ভাড়ি পাপের বোঝা
হয়ে গেছি একেবারে কূঁজা,
হবে হয়তঃ কয়েক শ’ মন ;
হাটে ঘাটে গরু ছাগল
খুঁজিয়া খুঁজিয়া ফিরি,কোরবানি
দিলে আমার হবে নাকি পাপমোচন।
এ কেমন বুঝিতে নারি,
পলে পলে করি, শত শত পাপ
আমিই তো পাপের মূল ;
বোবা গরু ছাগলের
এখানে কি কাজ ? আমি নাহি বুঝি,
শুধু ভাবিয়া হই যে ব্যাকুল।
বড় ছোট সবার কাছে বলি
যত কষ্ট যাতনা দিয়েছি তোমাদের
মোর মনে আজ এই ফরিয়াদ,
আমার সকল পাপের স্তুপ,
আল্লাহ্ল র নামে করিয়া কোরবান,
চাই গো হতে আজাদ।
আর কোন পাপ নয়,
যতটুকু পারি করিব সবার ভালো,
তোমার দরবারে তুলি হাত;
পরোয়ার দিগার, রহমান
আর রহিম, করিও ক্ষমা, কবুল করিও
আমার এই মোনাজাত।