ব্যথা ওর হয়েছে শেষ, তাও দু’তিন দিন পরে
আবার একটু আঁধারে, সে ঐ প্রাচীরে
দেখে জনতা, রিক‌্সা, গাড়ী, আঁখিভরে
দেয় ঝাঁপ, দৌড়ে এসে গড়াগড়ি দেয়, পা দু’টি ধরে।
ও মজা করে খায়, তাই কিনি টোনা মাছের টিন,
কাগজের বল ছুঁড়ে মারি, ঐ সে দুরে
দৌঁড়ে যাবে ও, ধরে বল মুখে, দিবে যে মোরে,
সুভাষিনী বলে, খেলা, ছি! তার চোখে, দেখি যে আগুন।
দিন গেল, মাস গেল, হটাৎ ও নেই, একি হলো
চুপি চুপি এদিক ওদিক খুঁজি ফিরি,
কোথাও নেই; শেষে বলি, আমি কি যে করি
হে গো! ও নেই; সুভাষিনী হাসিয়া কহে, খুব ভালো।
সকালে ভারতী বৌদি এসে হাজির, ‘শুভু’ ‘শুভু’ করে,
‘ও’ আসিয়া কহে, কেমন আছো গো দিদি,
বাতটা গেল নারে, ঘচুর কি যে ঔষধি,
বলে ঘচু আজ, দেখেছে নাকি বিড়াল ছানা গোঘরে;
আমিও বলেছি, এক্ষনি ওদের করিবে যে তাড়া,
তা না হলে, ঘরবাড়ি ওরা করিবে নষ্ট
পরিস্কার করিতে যে মোর, সে কি কষ্ট;
জানিস ! বলে কি ঘচু, তাড়ালে, ওদের দেখবে কারা ?
দিদি, একদম শুনিবে না ওদের, কি যে বলে কচু,
এই যে একখান, ওদের দেয় টোনা আর জল,
সারাক্ষন, ওর সনে খেলে কাগজের ফুটবল,
ওমা! বলিস কিরে ? এও দেখি, আমাদের আরেক ঘচু।
‘ও’ আর বৌদি হাসিয়া খুন; আমি গেলুম বাহিরে,
দাঁড়ালাম ঠিক বিড়ালের ঘরের পাশে,
চলে গেছিস, তাই যে ভালো। কি আর হবে এসে?
আকাশের দিকে থাকি চেয়ে, কিছু জল এল আঁখি ভরে।
(বিড়ালের ছানা দু’টি / ৩, প্রিয় পাঠকবর্গ চাইলেই প্রকাশ হবে।)