মনে পড়ে। তোমাকে যে আমার অনেক মনে পড়ে।
আমাদের বাড়ির সে উঠোনের পরে,
বড় রাস্তার সাথে,উঁচু লম্বা ঐ প্রাচীরে,
সদা পায়চারি করতে দেখেছি ওখানে, তোমারে ।
প্রাণভরে দেখতে জনতার ভির, রিকসা, গাড়ী,
প্রাচীরের ঠিক ঐ প্রান্তে, বসে, গোপনে,
কিছু আলো, কিছু আঁধার, ঠিক যেখানে,
কি যেন ভাবতে আর নিতে শ্বাস, মুক্ত বাতাস ভরি।
জানালার ফাঁক দিয়ে দেখি, তুমি ঐ দেয়ালে শুয়ে,
তোমার চোখ দুটো লাল, অস্থির চিত্ত,  
তুমি ধ্যান জ্ঞান হারা, কিসে যেন মত্ত,
দিলে ঝাঁপ, দৌঁড়ে এসে গড়াগড়ি দিলে আমার পায়ে।
ক্ষিধে হলে তুমি কর এই, তাই দিলাম যে খেতে
খাবারে যে মন নেই, পারি গো বুঝিতে,
ছোট ঐ ভাইটি তোমার, গেল খেলিতে,
ফিরার নামটি নেই, হলো দু’দিন, বল মোরে খুঁজিতে।
মিঠু খুঁজে বেড়ায়, ছোট ছোট কুকুর, বিল্লি আর পাখী
তুমি তো জান, পাড়ার ঐ দুষ্টু ছেলে মিঠু,
বানায় যে পাখী ধরার কল, খুব সে পটু,
কাল ধরেছে দোয়েল, কলের ভেতর তেলাপোকা রাখি।
কোথায় গেছে যে আমাদের ছানা, হলো যে দু’দিন।
ও বলে কি জান ? ছি ! নিব, তোমাদের ছানা ?
তিন সত্যি, আছে কোথায়, আমি জানি না,
ধরেছি কাল ঐ সে দোয়েল, দিয়েছি ছেড়ে ঐ দিন।
কাল ওর ঠোঁট, লাগে বড় ভাল, তা চুমু দিয়ে বলি
কাল ও এসো গো তুমি, আরো অনেক
তেলাপোকা দেব, মজা হবে গো অনেক,
আদর করিব, সঙ্গে দিব স্নেহভরা কুসুম কলি।