সেই একাত্তরে, ওদের লৌহ কপাট লন্ড ভন্ড করে,
সেই দূর আকাশের পথ বেয়ে,
নিয়ে এসেছিল তোমাকে, ছিনিয়ে,
দস্যু হানাদারের পাথরের ঘরটি, চুরমার করে।
মাইক্রোফোনের কাছে দাঁড়িয়ে, তুমি যে খুব কেঁদেছিলে,
লক্ষ লক্ষ জনরাশি, সমুদ্রের মত,
ভদ্র সাপের ফনার মত, হলো নত,
তুমি নির্বাক, হতবাক, হয়েছো যে সিক্ত, আঁখির জলে।
তব গর্জন হলো যে স্তিমিত সেদিন, শক্তি নেই তত,
সুনামির মত যে, ভরে গেলো দু’চোখ,
যেন গো ফাটিয়া যাইবে তোমার বুক,
নেই আর কিছু অবশেষ, জনতা দিবে আর কত ?
বুক ফাটা আর্তনাদে, লক্ষ জনতা হলো এতই ক্ষুব্ধ
রক্তের প্রাচীর দিয়ে বাঁচিয়েছে দেশ,
জীবন গেল,তবু যেন নাই কোন ক্লেশ,
পাগল কুকুরদের উলঙ্গ নৃত্য, করে দেয় স্তব্ধ।
এত ত্যাগের বিনিময়ে, এরা কি পাবে, এ ভেবে কাঁদিলে ?
মানুষের কষ্ট, ক্ষত করেছিল তব বুক,
লক্ষ আত্মার ঝড়ে যাওয়ার কি শোক,
এত সব ভেবে হয়েছিলে মূক ? ভেসেছিলে অশ্রুজলে ?
জনতা আনন্দে আত্মহারা, পেল যেন সাত রাজার ধন
জনতার ঢলে যেন ফেটে যায় মাঠ,
বলনি কিছু, শুধু কৃতজ্ঞতার পাঠ,
জনতা নাচিল, সেদিনের সেই মনই তো জনতার ধন।


(বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি)