সে ঐ গঙ্গার পারে, বালুচরে,
ফুলে ফলে ভরা, আমাদের গাঁও,
সবুজ তার মাঠ ঘাট, এই বালিতেও।
পারে বসে, ঝির ঝির বাতাসে,
মনের ঐ প্রিয়তমার সনে,
কত যে, না বলা কথা, বলি গোপনে।
আখের বাগানে, অতি সন্তর্পনে,
পাড়ার দামাল ছেলেরা যত,
ঝোঁপের আড়ালে, খায় আখ শত শত।
আর আষাড় শ্রাবণে, জানিনে,
কি যে আনন্দ জাগে, গঙ্গার প্রাণে,
প্রেম যে উঁপচে পরে পানির প্লাবনে।
সে আনন্দ ঢেউ, দেখে না যে কেউ,
সকলের অজান্তে এ কি হলো,
সব কিছু, এক ঢেউ এসে মুছিয়া গেল।
কেউ বলে, কার সে কোপানলে,
গঙ্গার মন হয়েছে এত যে ভারী
কি সুখ পেল ও, মোদের সর্বনাশ করি।
কেউ বলে, গঙ্গা পানিকে ফেলে,
ভালোবাসে, তাই পানির ক্রোধ,
ঘরবাড়ি মুছে দিয়ে, নিল যে শোধ।
কেউ বলে, গঙ্গাকে যে দোষ দিলে,
কে দিল তবে, ঐ যে চর, হাসে,
এতো গঙ্গাই দিয়েছে, উঠেছে ভেসে।
কেউ বলে, দোষ দিও না ওকে,
বড় ব্যথা লাগে ওর বুকে,
পালিয়ে যাবে শেষে, এত শোকে।