দেখ ঐ গগনে,ওর বুকের মানিক সকল,
মিটি মিটি খেলে, নেমেছে যে আনন্দের ঢল;
ঐ শশীও খেলবে, সবে যেন একসাথে
আসর যে উঠেছে মেতে, ওদের হল্লেতে।
সোনা মানিকদের কেও, যদি খসে পড়ে,
গগন কাঁদে কত, মেঘ আড়াল করে;
সে পাড়ার চন্দ্রিমাও কাঁদে যে অঝোরে,
এলো ও অমাবস্যার কালো শাড়ী পরে।
সূর্যদীপ দিয়েছে যবে, চুপিসারে উঁকি,
ধরার এ মাঠঘাট হলো আরক্ত সেকি !
পাখীরা সকলে ধরেছে, কি মধুর গান,
পশুরা লুকোচুরি খেলে, নেই হুঁশজ্ঞান।
যে শিশির নিদ্রিত, সবুজ ঘাসের সনে,
আলো যে বড় দুষ্টু, তা শিশির জানে;
রক্ত-সবুজ সেজেছে, হবে নিরুদ্দেশ,
ফিরিবে ওরা, যবে আলোর দুষ্টুমী শেষ।
জ্যোৎস্নারাতে, শত যে মেলাতে, ধরা ভরে,
পশুপাখী যত, মেতে উঠে গুপ্ত অভিসারে।
হেমন্তে সর্বত্র, সোনালী ধানের বাহার,
ধরা যেন বলে, প্রিয়, নাও এ উপহার।
দিবসে কাজেকর্মে ক্লান্ত, হয়েছে যে ম্লান,
রাতে রূপোর আলোতে ধরিত্রী করে স্নান।