ছোট্ট সে খুকু এসে বলে,
কাল সে জ্যোৎস্নারাতে,
বসেছিল ছাদের পরে;
কখন যেন আকাশের,
   ভুবন উজার করে,
এক মুক্তো খসে পড়ে।
সে ক্ষণ নাকি খুব ভালো,
যে আল্পনা আঁক মনে,
হবে গো তা সত্য জেনো;
আর আমি ভাবি বসে,
একটি সে প্রাণের প্রলয়,
আল্পনা আলয় কেমনে।
মনের সর্বত্র কানাচে,
খুঁজেও পাইনি যে কিছু,
এ তবে কেমনে তাহলে;
  ভাবি অনেক কিছু,
  হিসেব একটু মেলে,
পদার্থ বিদ্যার তত্ত্ব হলে।
    খুকু আবার বলে,
উঠোনে যদি কখনও,
কৃষ্ণ কাকে, বলে কা কা;
বাহিরে কোথাও যাবে না,
তোমার অমঙ্গল নিশ্চিত;
রাখিও তুমি মনে মনে তা।
    যতই করগে চেষ্টা,
মিটিবে না তোমার তেষ্টা,
কোন কাজ, না হবে সিদ্ধ;
ভাবি, কাকের হয়ত বা,
পেয়েছে ক্ষুধা, বা পিপাসা,
হয়ত প্রেয়সী হতে ক্ষুব্ধ।
   ওর সে কান্না হাসি,
  আর এ মনুষ্য জীবন,
কেমনে হয় তা বাস্তব;
আমি যে কাল গিয়েছিনু
বান্ধবী মালাদের বাড়ি
ঐ তো বললো এসব।
  এসব কিচ্ছু মানিনে,
খুকু বলে, তুমি যে কি না,
  আমার পেয়েছে ঝিম;
  কিছুই জান না তুমি,
  শুধুই পড়াশুনা কত,
জান শুধু ঘোড়ার ডিম।
   অভিমান করে বলি,
  তুমি তো অনেক জান,
ঘোড়ার ডিম জানি আমি;
  খুকু ত্বরিত দৌঁড়ে এল,
  গালেতে চুমু খেয়ে বলে,
মোর কানে, ‘সব জানো তুমি’।