উদর পূর্তি না হলে নাকি, আসে না ঘুম,
যাদের উদর ভর্তি, ওদের যে ঘুমের ধুম।
বই খাতা নিয়ে, রোজ ওরা যায় যে স্কুলে,
আর এরা যে দুঃস্বপ্ন দেখে, সকাল হলে।


দেখবে এদের, আবর্জনার স্তুপের পাশে,
আছে নিত্ত, বিত্তের বাসি খাবারের খোঁজে;
গায়ে আছে ছেঁড়া ত্যানা, কচি শুকনো মুখ,
হাতে কিছু জীঁর্ণ কাগজ আর চিন্তিত চোখ।


বলি, দেখাবে এ কাগজে কি রেখেছো ধন ?
তাজা আপেলের টুকরো দুটো, শুরু পচন।
অন্য জনে পেল, ভাঁজা মুরগীর কিছু হাঁড়,
অর্ধেক খাওয়া ডিম, কিছু যে পচা আঙ্গুর।


ঐ যে গলিটার পাশে, আবর্জনার পাহাড়,
সঙ্গে মরা বৃক্ষ, ওর নীচে ব্যবস্থা থাকার।
ক্ষুধার জ্বালায় কাতর, মা বাবা ভাই বোন,
এসব পেলেই তো, তাদের হয় যে ভক্ষণ।


মানুষ এরাও, আমি যে পড়ি, চিন্তার ফাঁদে,
এ কষ্টের পরেও হাসে, তবে কখন কাঁদে।
বিষয়টি দেয় যে মোরে, বারে বারে নাড়া,
কি পাপ এদের ছিল, এমন সাজায় এরা।


  গগনচুম্বী ঐ ইমারতে, যাদের বসবাস,
মৌজ আর স্ফূর্তির সনে ওদের সহবাস;
কি পূণ্য ছিল তবে, ক্রয় করে যে স্বর্গবাস
কে সে ক্রীড়ক, তার দর্শন যে মোর আশ।