তোমরা যারা দরিদ্র কৃষাণের সুখ, করিলে চুরি,
ভেবেছো, তোমাদের সুখের ভান্ডার হয়েছে ভারী;
নিয়তিকে চেন না, বলিবে একদা, কিছুই যে নেই,
বড়াই কি করিবে, অট্টহাসি হাসিবে, সাধ্য নেই।


দুস্থ, পঙ্গু, জনতা, চাখে নাই কভু, জীবনের স্বাদ
করিলে যে ওদের নাভিশ্বাস, বানালে যে উন্মাদ;
নিয়তিকে চেন না, বিস্বাদের রুপ,দেখাবে সেই
বুঝিবে তিক্ততা কি, অট্টহাসি হাসিবে, সাধ্য নেই।


ক্ষুধার জ্বালায় মানুষ পাগল, তোমরা যে রাক্ষস,
ধূঁকে ধূঁকে মারিবে ওদের, হয়েছে এতই সাহস;
নিয়তিকে চেন না, শুধু যে মৃত্যু, দেখিবে জীবন নেই,
প্রলয় কি, বুঝিবে, অট্টহাসি হাসিবে, সাধ্য নেই।


ওরা করে যুদ্ধ আর সংঘর্ষ, করিলে তোমরা হর্ষ,
বাঁচলো কই, যেন পাখী মরে, তোমরাই হবে ভষ্ম;
নিয়তিকে চেন না, তোমাদের বাঁচার পথ যে নেই,
নির্ঘাত যেন মৃত্যু, অট্টহাসি হাসিবে, সাধ্য নেই।


আনন্দ স্ফূর্তি কি, জানে না যে ওরা, দেখলে তা তোমরা,
  বিমর্ষ মলিন গো ওরা, তোমাদের যে আনন্দ সারা;
  নিয়তিকে চেন না, দেখিবে, সময় যে আর নেই,
স্ফূর্তি হবে গো আড়াল, অট্টহাসি হাসিবে, সাধ্য নেই।


(কবিতাটি একটি সাময়িকীতে প্রকাশিত, ২০০৮)