সেদিন কোথায় যেন, কোন সে পর্দায়,
এক যে বনের বাঘী, স্নেহভরে তাকায়,
        বানরের বাচ্চার প্রতি;
ওর বাচ্চাদের সনে, খায় বুকের দুধ,
দৃশ্যটি ভাবিয়ে বলে, এ কিসের দূত,
       পশুর মাঝে এহেন মতি।


ঐ পর্দায় আবার, বিষয়টি যে ভাবার,
দু’মাসের বাচ্চা রেখে, মা হয় ফেরার,
       এই আজ মনুষ্য মাতৃত্ব;
দুগ্ধপোষ্য গলাটিপে হত্যা, নিষ্পাপ সে শিশুর,
নেত্র যাবে ফেটে, এ এমনি বেদনা বিধুর,
        নিসাড় অবস হয় চিত্ত।


   ভেবে পাইনে হদিস, কেমন সে অগ্নিতাপ,
মা গো, কাঞ্চন তোমার, কেমনে কর নিক্ষেপ,
       বুকে জ্বলে, এত অনল?
যাকে তুমি, তিলে তিলে, মনের মত গড়লে,
চোখের এক পলকে, আবার তাকে ভাঙ্গলে,
      দাহে বাষ্প, তব সে অশ্রুজল।

যে কাঞ্চন ফলাতে, জীবনটাই কর উজার,
এত অগ্নিবর্ষণ, যেথায় তুমি মায়ার পাহাড়,
        তীব্র এত মনুষ্য অভিমান;
  জগতের প্রলয় হোক, হোক এ সকল ধ্বংস,
চাঁপা কান্নার মূল্য কি দেবে, সমাজ যে বীভৎস,
     কবে যে হবো তবে, পশুর সমান।