উনিশ শ’ একাত্তরে মার্চের এ পঁচিশে
অশ্রুজলে আমার আঁখি দু’টো ভাসে।
শুনি যবে,এক প্রত্যক্ষ্ দর্শীর ভাষ্যে
মন হয় মর্মাহত,মর্মস্পর্শী দৃশ্যে।


যখন হয় শিলাবৃষ্টি,টিনের চালে
বিকট শব্দে শিশুরা যেমনটি কাঁদে;
      তেমনটি উৎকন্ঠায়
      মানুষ রজনী কাটায়
ঢাকা শহর সেদিন হয় প্রকম্পিত
শুরু হয় গুলি বর্ষণ বৃষ্টির মতো।

কাক ডাকা ভোরে,বেরোই সে রাজপথে
ঐ বায়তুল মসজিদ, পল্টন থেকে;
হকার্স, যাদের ঘরবাড়ি এ রাজপথে
রিক্সাচালক, সবাই যেন আছে শুয়ে।
  
লাল রক্তে রঞ্জিত পথ,দৃশ্য অদ্ভুত
এখানে ওখানে শুধু যে লাশের স্তুপ।
সেদিন যেন নেই সে বাঁচার তাগিদ
সূর্য দিয়েছে উঁকি,তবু ভাঙ্গে না নিদ;


করে দিয়েছে নিস্তব্ধ জীবন সঙ্গীত
শব্দ শুনি,‘রক্ত দিয়েছি হবেই জিত’।
এর নাম রক্তে কেনা এই স্বাধীনতা
রাজপথে শত লাশের জীবন কথা;

চারিদিক ভরা শুধু যে নীরবতায়
হায়েনাদের সহিংস বর্বরতায়।
নব প্রজন্ম,এ মুক্তি বড় কষ্টার্জিত
প্রেম দিয়ো মানুষে,কভু দিয়ো না ক্ষত।