নদীর বুকে যৌবন যবে দেয় নাড়া
সে এক আলোড়ন,যেন উথলিয়ে উঠে
আনন্দে হয়ে যায় কত না আত্মহারা।


যেন কিশোর বয়সী কুমারীর মতো
দু’পাশে ছিটিয়ে জল,হেলে দুলে চলে
ইচ্ছে,সকলে দেখুক রূপ তার কতো।


পশু পাখি করে প্রেম,স্পর্শ নেবে তার
ভাটিয়ালী সুরে মাঝিরা গায় গান
রূপরস এত তার যেন এক অবতার।


তর তর চলে,শুনি জলের ফিসফাস
সখীরা কলসী কাঁকে ফুলের ডালা হাতে
আসে জানাতে প্রেম,নেই যেন অবকাশ।


আসে যৌবনে ভাটা,জীবন যে নশ্বর
কেউ গাবে না প্রেম গান,না বাজাবে বাদ্য
বুক হবে শূন্য,উঠবে ভেসে বালুচর।


না রবে সখী পাশে,না প্রেমিকের ভির
চারিদিকে দাঁড়িয়ে কিছু ফ্যাকাসে মুখ
কেউ যে মাড়াবে না আর তার সুখ নীড়।


একান্ত যে আপন শুধু তারাই পাশে
রূপ যৌবন সবই যে নশ্বর হেথা
শুন কান পেতে শুধু কান্না আছে শ্বাসে।