ঐ শূন্যাকাশে উড়ছিল কতক পাখি
বক শালিক, কাক চিল;
এখানে শুধুই ওড়ে রাশি রাশি বালি
এ যেন মরু, নেই কোন খাল বিল।
প্রচন্ড উত্তাপে পাখিসব হয়ে কাবু
পড়ে নীচে, কাঁদে পিপাসায়;
কাতরায় ঠিক যেন মানুষের মত
কোথায় পাবে জল, ধরিত্রী অসহায়।
সেদিন দেখি মানব একটি, আছে পড়ে
ঐ রাজপথে উপুড় হয়ে;
মুখেতে ফেনা, কারো তবে নেই ভ্রুক্ষেপ
কর্মব্যস্ত রয় সবাই, নিজেকে নিয়ে।
সবুজ পল্লব বয়সে বিবর্ণ হলে
ঝড়ের প্রতাপে পড়ে ঝরে;
আর দুমড়ে পড়ে এই মাটির বুকে
হয় উচ্ছিষ্ট, বাতাসও তাই তাড়া করে।
কোথায় যাবে শেষে, এসব ভাগ্যহত
বুকে নিতে না এলো কেউ;
জ্বালা যন্ত্রণায় দগ্ধ মৃত, যাবে কই
এদের সৎকার করে, নেই যে কেউ।
ধরিত্রী করে ধারণ লালন পোষণ
সময়ে সবি আবর্জনা;
এ যেন ধরিত্রীরই ভীষণ দায়
করে সৎকার, ঠোঁট চাপি সহে যন্ত্রণা।