হে বৈশাখ আবার তুমি ফিরে এলে
     অনেক সে প্রতীক্ষার পর;
পুরাতন বছরের স্মৃতিগুলো ফেলে
     কি দেবে এবার মনোহর ?


বাসন্তী রঙের কত না শাড়ীর ভিড়ে
     বাজছে কত কাঁচের চুড়ি;
কৃষ্ণচূড়া লালে চারিদিক শুধু লাল
     সর্বত্র উল্লাসে গেছে ভরি।
  
নাচে গায় বাসন্তী রঙে পরীর দল
     হাতে বসন্তের ফুল ঢালা;
ভুবন মাতানো সুরে নাচে ধরাতল
     তোমার গলে পরাবে মালা।


সকলের মনে আজ যে দারুণ হর্ষ
     শুভ হোক ভাবী বছর;
পৃথিবীর কোন প্রাণ,না হোক বিমর্ষ
     সুখী হতে গোনে প্রহর।


বাংলার গ্রামে গঞ্জে শহরে বন্দরে
     হচ্ছে আজ বৈশাখী মেলা;
লাখো মানুষের ঢল,শুধু চোখে পড়ে
     নাচ গান কত শিল্প কলা।


মেলাতে মিলে কচিদের কত খেলনা
     রঙিন তালের হাত পাখা;
গ্রাম বাংলার নানা মিষ্টান্ন কত না
     হয় কোলাকুলি স্নেহ মাখা।


পাগলা বাতাসের দোলায় চারিদিক
     আনন্দ প্লাবণে যায় ভাসি;
ইলিশ আর পান্তা খাওয়ার হিড়িক
     মুখে সবার অঢেল হাসি।

হে বৈশাখ,দিয়ো না আজ ঝড়ের হাঁক
     ঢেলে দাও সর্বত্র প্রেম তব
মৃদু হাসিতে দুষ্টুমি মাখা দুটো আঁখ,
     তুমিই প্রিয়,তুমি সর্বোত্তম।