জীর্ণতা বিষাদ ও কষ্ট দিয়ে বিদায়
মানুষ আজ রমনা বটমূল তলায়;
করছে আলিঙ্গন বর্ষ চৌদ্দ্ শ’বিশ
শুনি তাই লক্ষ প্রাণের ফিস ফিস।
হিন্দু মুসলিম খৃষ্টানে নেই ভেদাভেদ
গরীব ধনী,ছোট বড়তে নেই প্রভেদ।


প্রত্যুষেই বেজে উঠে জাতীয় সঙ্গীত,
     আকাশ বাতাসে ধ্বনিত
     কবিতা আবৃত্তি অবিরত
চারিদিকে শুনি কত যে দেশীয় গীত।


লাল সবুজ শাড়ীতে তরুণ তরুণী
     লাল সবুজ পতাকা তলে
     আইবুড়ো সবি দলে দলে,
জনতার ঢলে হয় প্লাবিত এ ধরণী।


সকল ছেলেরা সাদা পাঞ্জাবি পরি
মেয়েরা সাদা লাল পাইড়ের শাড়ী;
রমনার বটমূল হলো অপ্সরী নগরী
এলো যেন অন্তঃপুরীর সে জ্বিন পরী।


মেলাতে তারুণ্য প্রতীক ক্ষ্যাপা ষাঁড়
দেখি ঘোড়া,হাতি কত প্রাণ সমাহার।
বাংলাদেশ হবে তবে রাজাকার মুক্ত
তরুণেরা এ মেলায় তাই করে যুক্ত;


যত অশুভ শক্তি তাড়ানোর প্রতীক
দেখি পয়ষট্টি ফুটের দীর্ঘ সরীসৃপ।
উম্মত বৈশাখের রঙ দেখি প্রাণ ভরি
দেখি লাল সাদা সবুজের ছড়াছড়ি।


দেখি কত শিশুদের সরব উপস্থিতি
এ যেন এক লাল সবুজ সাদার তিথি।
রাস্তায় পাশে গড়ে উঠেছে ক্ষণস্থায়ী
অসংখ্য সে পান্তা ইলিশের বিপণী।


মানুষ পান্তা ইলিশ খায় দল বেঁধে
চোখ মুখ  ভরে যায় তৃপ্তির স্বাদে।
অনেককে দেখি রমনার সবুজ ঘাসে
পান্তা ইলিশ খেতে,স্বপরিবারে বসে।


কাঙ্খিত সবার এ বর্ষ বরণ উৎসব
সারা বছর থাকে যেন এ কলরব।


  ১ বৈশাখ, ১৪২০। রবিবার।