বিয়ের সানাই বাজলো এই সেদিন
         মনে হয় ওই ওদিন
ওরা এলো দুজনের খুব কাছাকাছি;
বাঁধে স্বপ্ন ঘর, নয় তবে মিছিমিছি।


পাড়ার ছোট বড় সবাই নেচে গেয়ে
         বাদ্য ঢোল বাজিয়ে
আকাশ বাতাস যেন করে মুখরিত;
আশে পাশে পশুপাখিও হয় স্তম্ভিত।


বুড়ো মা বাবার আদরের সে দুলারী
         তাদের একাকী ফেলি
চলে গেল তার কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন জগতে;
বর্ষ গেল বিতে, শত আনন্দ কেলীতে।


এলো এক নুতন মুখ ঢের খুশী লয়ে
         সে মমতার ঢেউ হয়ে
ছড়ায় দুটো পরিবারে অফুরন্ত প্রেম;
বেজে উঠে সর্বত্র আবার শঙ্খ ড্রাম।


জীবনে একদা কান্না বাদ্য বেজে উঠে
         বোঝা চাপে কোমল পিঠে
যৌতুকের, কি করে দরিদ্র পিতামাতা;
পথ নাহি মিলে, বেড়ে উঠে অস্থিরতা।


কেরোসিন ঢেলে, অনলে দাহে জীবন
         রুদ্ধ শ্বাসে ঘটায় মরণ
কত না মিনতি আকুতি শুধু যে বাঁচার
মৃত্যু ষন্ত্রণা কত, গগন ফাটা চিৎকার।


রঙরসের বাদ্য বাজনা কানে সব শুনি
         বাতাসেও উঠে সে ধ্বনি
প্রাণ জ্বলে দাউদাউ, শুনে না তা কেউ
না শুনে বধির সে বায়ু তরঙ্গ ঢেউ।


সানাই ড্রাম শব্দ বাজে কর্ন কুহরে
         হর্ষ আনন্দ পড়ে নজরে
করুণ প্রলয়, নিষ্পাপ প্রাণের দাহ
সজোরে কত চিৎকার শুনে না কেহ।


          রচনা:২০০৯ ইং