নজরুল,ডাক নাম ছিলো যার দুখু
মেলেনি উচ্চশিক্ষার সে সুযোগটুকু;
   সেই বার বছর বয়সে তার
   সময়টি যেন খেলার সবার
হারালে রৌদ্রে ভরা জীবনে ছায়াটুকু
পায় নি প্রেম কারো,বাবার স্নেহটুকু।


আমাদের জাতীয় কবি সে নজরুল
দুর্বল দুঃস্থের কবি,অনন্য অতুল;
   পায়নি তো কখনো সুখের দেখা
   হয়নি জীবনে কোন স্বপ্ন আঁকা
ফুটে উঠে লেখায় প্রেম সাম্য বিদ্রোহ
কবিতা গানে এতো শক্তি,আছে কি কেহ ?


এক হাতে বাঁশি,অন্য হাতে রণতুর্য
বাংলায় উদয় কর সোনালী সূর্য;
   নয় বছর বয়সে এতিম হলে
   হলে এতো বড় তব মেধা বলে,
অর্থ কষ্টে কাটে যে প্রায় সারা জনম
মানুষে প্রেম যেন ছিল তব ধরম।


জাগাও মানুষ,বৃটিশ বিরোধী রণে
প্রাণশক্তি পায় মানুষ কবিতা গানে;
   তব কবিতা যেন সে বজ্র হয়ে
   সে বৃটিশও কাঁপতো কত ভয়ে
বললে তুমি,তোমার ঐ শেষ ভাষণে
প্রেম ভালোবাসা দিতে এলে যে ভুবনে।


আরও তো বলেছো,হতে চাই না কবি
চাই হতে প্রেম সাম্য বিদ্রোহের ছবি;
   তোমার লেখনিতে তাই তো দেখি
   কাঁদে এ মানুষ,ভেজা তব আঁখি
কলমে তোমার তাই জ্বলে যে আগুন
তাই তো সদা লিখেছো এমন দারুণ।


   ‘ক্ষুধাতুর শিশু চায় না স্বরাজ
   চায় দুটো ভাত একটু নুন
   বেলা বয়ে যায় খায়নিক বাছা
   কচি পেটে তা জ্বলে আগুন।‘
অত্যাচার নিপীড়ন আর যে শোষণে
দেখি বজ্র কন্ঠ তব কবিতা ও গানে।


                     চলবে …….