প্রত্যেহ সেই সে কাক ডাকা ভোরে
নিদ্রাকে জোরে ধাক্কা মেরে ঐ দূরে;
চা বানাই,নাস্তা বানাই
অফিসে যাবে যে সবাই।
দাদার কাপড় কাছে দিই আনি
হাজার বার তবু বকুনি শুনি;
যখন অফিসে সবাই
তাদের বাচ্চা সামলাই।
শতবার ঐ দোকানটায় দৌঁড়ি
তবু কই পারি মনগুলো কাড়ি;
হতে তাদেরই আপন
ভাবে তা কারো নেই ক্ষণ।
কখন জানি তবে যে ঝাঁটা মেরে
আমাকেই তবে এরা তাড়া করে;
কি আছে আমার,না কড়ি
প্রেম মমতা গেছে যে ছাড়ি।
সবই হারি,নেই কোন ঠিকানা
সবাই হেথা যে অজানা অচেনা;
আছে এখনো কিছু শক্তি
কর্ম করে পাই যে মুক্তি।
এ বেলা তবে যখন যাবে পড়ি
তখন কার সে কাঁধে ভর করি;
হবো পার এ জীবন বাঁধ
এই বুঝি নিয়তির ফাঁদ।