পৃথিরীর সমস্ত গালিশব্দ তাকে –
যে তোমার পুষ্পকোমল অঙ্গে এনাকোন্ডার মতো প্যাঁচিয়ে ধরে
ঢেলে দিয়ে গেছে কলুষিত কামনার বিষ।
না না, ও তোমাকে অপবিত্র করতে পারেনি
সদ্যফোটা শিউলির মতো পবিত্র তুমি
কলোকলো ছলোছলো স্বচ্ছ স্ফটিক ঝরনা ধারার মতো পরিস্কার।


পৃথিরীর তাবৎ অভিসম্পাত তাদের –
যারা তোমায় চক্রান্তের জালে পুড়িয়ে মেরেছে দাউদাউ লেলিহান আগুনে।
তোমার আর্তচিৎকারে কেঁদে উঠেছিল ভয়ার্ত বাতাস
ভয়াবহ অন্যায়ে কেঁপে উঠেছিল বিক্ষুব্ধ আকাশ!
ওরা অভিশপ্ত ফেরাউন ফাছেক; অপমান করে গেছে জন্মদাত্রী মাকে।
নুসরাত ভগ্নী আমার! ওরা পারেনি মারতে তোমায়
দেখো না, কোটি কোটি মায়ের, ভাইয়ের, পিতার বক্ষে তুমি আছো।


পৃথিবীর সমস্ত থুথুদলা তাদের –
যারা ফুটতে দেয়নি তোমার মতো একটি প্রফুল্ল ফুলকে;
বরং পরম প্রশ্রয়ে বাঁচাতে চেয়েছে খুনি হায়েনাদের।


ওরা পারবে না;
তোমার রক্তে লিখা হয়ে গেছে ওদের হুলিয়া।
তুমি বীর; আজকের প্রীতিলতা
বাংলার বারুদ, সাহসী নারীর প্রতিকৃত;
খুলে দিয়ে গেছো কতোগুলো জান্তব মুখোশের মুখ।
তুমি জয়ী, পৃথিবীর সমস্ত ফুল তোমার।
ওরা পরাজিত; লানতের জিঞ্জির ওদের গলায়
আমাদের সমস্ত ক্ষোভ আমরণ তাড়িয়ে বেড়াবে তাদের।
তুমি ঘুমাও
নিশ্চিন্ত নিরালায় পরম শান্তিতে।