বর্ষার ঘনকালো মেঘের ডাকে মন
আমার আনন্দে নেচে উঠে
আষাঢ় এর আঝোর অশ্রুসিক্ত নয়ন যেনো
স্নান করিয়ে মুক্ত করে দেয় সোনার বাংলার মাঠঘাট প্রান্তর।
ফুলের সুবাসে রোমাঞ্চিত হয়ে উঠে বৃষ্টির রিমঝিম ছন্দ
আর প্রকৃতি বিলিয়ে দেয় তার দেহ-মন।
কেয়া,কদম,বেলি,জুঁই চামেলি আর শিউলি যেনো পাপড়ি
মেলে নগ্ন মনের প্রেম বিলিয়ে দেয় আকাশের আল্পনাতে,
আর মানুষের কালো মনের গহীন অতলে।
আষাঢ় শ্রাবণের অবিরাম জলধারা তিরতির করে অগ্রযাত্রায় পদক্ষেপ ফেলে সহযাত্রী হিসেবে রুখতে থাকে
এই প্রকৃতির মন কেড়ে নিতে।
আর বর্ষণমুখর প্রকৃতির রূপরেখা কেড়ে নেই
কবির লিখন,তখন বাউল মন ও ছন্দে ছন্দে ভরে উঠে উতালপাতাল গানের কলিতে।
পিরীতের কি তুমুল ঝর হাওয়া বহে যায় নদী খাল বিল হাওরের বিলে।
বৃষ্টির রিমঝিম শব্দের অনুভূতি কখনো বেসামাল পরিস্থিতির সৃষ্টি করে প্রেমিকের দেহ-মনের নীলাভে।
তখনি ঝর হাওয়াতে ডুবে যায় মণি-মুক্তা ভর্তি তরী খানি।
তুমি কি যাবে আমার সাথে বৃষ্টি ভেজা কদম ফুল কুড়াতে।যদি যাও চলে এসো কেয়া বনে।নদীর বাঁকেবাঁকে
আঘাতের বর্ননা খচিত রয়েছে, দেখবে, যদি মন থাকে
রোমাঞ্চিত রনে।