রোদ মাখা ভোরের শিশির যখন ডুবে যায়
মেঘের ঘনঘটায়
শিমূল ফুলে মুখ ঢেকে রোমাঞ্চকর শালিক ডাকে
ও কোকিল বসন্তদিনের  সুবাস নিয়ে আয়।
ভ্রমর এসে ফুলের রাজ্য থেকে চিনে নেয়
তার সজিব রসপূর্ণ প্রেমিক ফুলটিকে,
বাঁশ বাগানের চূড়ায় তখন  উড়ন্ত পাখির কলরব
সবুজবীথির ফাঁকেফাঁকে ঝলঝল করে তখন সূর্য কর ।
দূর্বাঘাসের ঘোমটা ফেলে কৃষকেরা ধান কাটতে যায় মাঠে
মাঝি ভাইয়েরা গান গায় তিতাস নদীর  বাঁকে বসে
রাখালিয়া বসে বাঁজায় বাঁশি বটবৃক্ষের তলে
কাধে লাঙ্গল হাতে কাঁচি পাতলা দিয়ে মাথায়
হুক্কা নিয়ে জমিনে যায় কতো আনন্দ আশায়।
কতো মনোরম দৃশ্য ছিলো এইগুলি গেলো কোথায়?
গ্রাম বাংলার সৌন্দর্য আজ খুঁজে নাহি পাই।
পালকি দিয়ে যেতো কতো নতুন বউ-জামাই
বর্ষার জলে কতো নৌকা যেতো কলের গান বাজাইয়া।
নৌকার ভিতর বরযাত্রী আর বউ -জামাই থাকতো উঁকি দিয়া।
সবই কি আজ প্রযুক্তির দখলে কেড়েছে গ্রামবাংলার প্রাণ
গ্রামের সবুজ শ্যামল আজ ভরপুর প্রবাসীর উন্নত বাসস্থান
দূর থেকে মনের মাধুরি মিশিয়ে কল্পনার রাজ্যে ডুবে
শুধু স্মৃতির মালা গাঁথি আর অতীতের মানচিত্রে আঁকি
আবিষ্কারের পুরাতন ইতিহাসের কাহিনী।