জামিনীকে ভোরের অপেক্ষা করতে হয় না,
আহ্নিক ঘূর্ণিতে আপনাতেই
তা হলদে আলো দেখায়।
প্রেমকে বিরহের স্বাদ নিতে জানতে হয় না
সময়ের টানা পোড়নে সর্বক্ষণ
তা ঠোঁটের কোনায় লেগে থাকে।
জন্মকে মরনের ভয় দেখাতে হয় না,
বেলা শেষে স্বভাবতই
তা আলিঙ্গনে হারিয়ে যায়  কালে।


এ নিয়ম তোমার সামাজে কোন রীতি নয়;
এই নিয়ম তোমার গড়া বিদ্যাপিঠের ঘণ্টা নয়;
এই নিয়ম তোমার দেখানো উন্নয়নের সিড়ি নয়;
এই নিয়ম তোমার বলা মিঠা প্রণয়ের বিষ নয়;
এ নিয়ম রাস্তার পাশের ঘনবসতিতে কান্নার অভিনয় নয়;
এ নিয়ম তোমার গড়া ওয়াদার অলিক কংক্রিট নয়।


তুমি যেখানে সবল আজ,
এক জোড়া পায়ে পিশে
চিৎকার করে বল এইতো কাজ!
তুমি যেখানে শিক্ষিত আজ,
বারবার মনের সব আঁধারেই
দূর হতে হাততালি মজুরির রক্তে রংমহলে সাজ।
সুকান্তের পূর্ণিমা ঝলসানো রুটি
সোনায়  মুড়ানো চিল শকুন নাচায় ঝুটি।
চেতনার ছুরিতে  মনুষ্যত্বের এর ছিন্ন পা
সাম্যের চাবুকে বুকের পাঁজড়
ভয়ের মোড়কে ভালবেসে থুয়ে যা।


সব নিয়ম সবলের তরে মাতামাতি,
ভিন্ন পক্ষে তা অনিয়ম রাতারাতি।
সময় আসছে ভেংচি কাটার,
সময় আসছে অনিয়মে বাঁচার,
সময় আসছে যত আছে মালিক কলমের
শিক্ষা সব নাটকে, পালিয়ে যাবার।