বিজয় উল্লাসে নীরব কান্নার সুর,
মা তুমি কোথায় কোন অজানায় কত দূর।
তোমার সম্ভ্রমের দামে জন্ম আমার এই বাংলায়,
প্রতিবাদ আর প্রতিরোধের ভাষা ছিল আমার প্রথম কান্নায়।
জন্মের পর আমার পরিচয় নিয়ে সৃষ্টি হল সংশয়,
যুদ্ধশিশু নামে অভিহিত হলাম বিশ্বময়।
আমাকে তুমি নিজের কাছে রাখতে পারলে না মা লোকলজ্জার ভয়ে,
তাইত আমার স্থান হয়েছিল মিশনারিতে নয়তবা এতিমখানায়।
সেখান থেকে কোন দয়াবান বিদেশী পিতামাতা আমাকে দত্তক নিলেন,
আমি চলে এলাম ভিনদেশে ছ্ন্নি করে রক্তের বাধন।
যখন বড় হলাম তোমার কথা জানতে পারলাম মা,
ছুটে আসলাম এই বাংলায় তোমাকে আলিঙ্গন করব বলে মা,
বাংলার পথে প্রান্তরে তোমাকে খুঁজলাম মা,
পেলাম না তোমাকে জীবিত অথবা মৃত।
তোমাকে দেখার স্বাদ হয়ত কোনদিনও পূরণ হবে না মা জানি,
বাংলার লক্ষকোটি মায়ের মুখে আঁকি তোমার রুপখানি।
আমি জানি মা আমার বিরহে তুমিও কেঁদেছ দিবানিশি,
হয়ত পাগলের বেশে ঘুরে বেড়িয়েছ এখানে ওখানে,
কত অপমান কত লজ্জা তুমি সহ্য করেছ জীবনভর,
দেখিতে চেয়েছ সন্তানের মুখ নিরন্তর,
হয়তবা মা দেখা হবে না কোন দিন এই ধুলির পৃথিবীতে,
মাতা পুত্রের দেখা হবে বিধাতার সাক্ষাতেে।
আমি ধন্য মা আমি তোমার সন্তান,
তোমার সম্ব্রমের দানে কেনা বাংলার স্বাধীনতা,
আমার মায়ের পরিচয় বীরাঙ্গনা ।