পরী,
আজ তোমাকে দেখলাম অন্য রূপে
অন্তহীন বিস্ময় তোমাকে ঘিরেই !
সাধারণ মজুরের কাজ করতে গিয়েই
কলিমকে পাওয়া, এক অমূল্য রতন ।
নারী-সম্মান রক্ষার্থে অদম্য সাহস—
কলিমের জীবনে এনে দিল,
অন্ধ কারাগারের দুর্বিষহ করুণ মুহূর্ত !
মুক্তি-শেষে মাসির বাড়ি,শূন্য ঘর
তুমি বিনে শূন্যতার নীরব অভিমান !
দুঃসহ ব্যথা কলিমের  বুকে !
পরী, ...তুমি কি একটুও বুঝতে পার নি
সোনা,গয়না,জামদানী-শাড়ি—পরপুরুষ
এসব কোনও  সুখ দিতে পারে না ?
পরিণামে বেছে নিতে হ’ল অন্ধ গলি ।
কী পেলে সেখানে, ওগো  রূপসী কন্যা ?
অন্ধ গলিতে থাকে সুখের মোড়কে অসুস্থ বিলাস ।
এসব কি তুমি একটুও ভাবতে পার নি ?
মাসী মা’র  হাজার  চেষ্টাতেও
পরীকে  ছাড়াতে পারে নি,
কলিমের বুক থেকে ।
অবশেষে খুঁজে পেল তার  স্বপ্ন-পরীকে ।
তবে  সেদিনের সে পরী নয় ।
নদীর ওপারে  ভিক্ষাপাত্র হাতে
আজ সে  সঙ্গী-বিহীন পথের  ভিখারিনী !
....(পরী, গল্পের শেষটা এমন না হলেই বোধ হয় ভাল হ’ত । বড় বেদনাদায়ক আমার কাছে? কলিম যদি তোমাকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে আবার ঘরে ফিরিয়ে আনতে পারত, তাহলে শান্তি পেতাম ! কী জানো পরী, তোমার যেকোনো টেলিফিল্ম দেখে, আমি তা’ সত্যি ভেবে, কষ্ট বা আনন্দ পাই । আর সে কষ্ট বা আনন্দের রেশ দীর্ঘ সময় ধ’রে থাকে আমার মনে । আর তারই প্রতিক্রিয়ায়  কিছু কথা প্রকাশ করতে আমার  মন চায় । তাই কিছু লিখি । জানি না, তোমার কাছে কেমন মনে হয় !...ভাল থেকো ! শুভকামনা সর্বক্ষণ !!...সবুজ দ্বীপ আন্দামান থেকে রইসউদ্দিন )