আজও সেই বাংলা আমায় ডাকে-
যার সাথে জড়িয়ে আছে আমার শৈশব-স্মৃতি।
ফেলে আসা বসন্তের ব্যাকুল বেদনা জাগায় কখনও
ঘননীল সমুদ্রের ওপার থেকে কে যেন আমার প্রতীক্ষায়
হারানো স্মৃতির পথ ধ'রে।
এই অপরূপ পাহাড়ি ঝর্ণা,নারকেল-সুপুরির সারি,
শ্যামল বনভূমি--
নাম না জানা তরুশাখে অচেনা পাখিদের কলতান,
সবুজ শস্যক্ষেত্র আমায় টানে, কোন অদৃশ্য শক্তিতে।
সাগরবেলায় আনন্দ-লহরীর অস্থির উন্মাদনা-
মলয় বাতাসের দীর্ঘশ্বাসে,শুনতে পাই
আমার বাংলা-মায়ের ডাক!
আশ্রয় প্রকৃতির রূপরাজ্যে-
দেখেছি নাটোরের বনলতা এখানেও।
বঙ্গভূমি থেকে বঙ্গসাগরোপকূলে-
আমার দূঃখ-সুখের নিত্যসঙ্গী।
'বঙ্গ' পরিচয়ে আবার পূব-পশ্চিম?
অথচ বিশ্বায়নে উদার!
বাংলা ছেড়ে জংলা দেশে,
আর এক বাংলা গড়েছিলাম--
কিন্তু দূষণমুক্তির আশা সেখানেও দেখি ঋণাত্মক!
এত দর কষাকষি?
চাকুরির মোহে পরিত্যক্ত ভাষা-সংস্কৃতি?
বিশ্বকবির,বিশ্ববাণীর অকালমৃত্যু!
নির্বাক আত্মবিলাপই শুধু মুক্তির উপায়?
প্রতীক্ষমাণ আমরা,প্রতীক্ষারত দ্বীপবাংলার মানুষ।
আমার এ ফরিয়াদী বার্তা পৌঁছে যাক,
সচেতন বিশ্বমানবসভায়-
পৌঁছে যাক বাংলার মেঠো পথ ধ'রে,
সবুজ শস্যক্ষেত্রে,সোনালি ধানক্ষেত,
নদীর বুকে,পাখির কন্ঠে,
উদাসী বাউলের একতারায়!
আমার মধুর বাংলাভাষায়-
জেগে উঠুক বিশ্বভূবন!!