আর কতো রক্ত চাও তুমি
আমাকে বলো; আমি দেবো
আর কটি প্রাণের বিনিময়ে
তোমার বুক শান্ত হবে?
আর কত অশ্রু চাও তুমি?
আম কাঁদবো অবিরাম।
আমার কোন পিছুটান নেই,
সংসার নেই, সন্তান নেই,
আমার প্রাণের বিনিময়ে তুমি
শান্ত হও; শেষ করো এ নৃশংসতা
হে মাটি, হে বঙ্গমাতা আমার।


আমার কন্ঠ থেকে আর ক'টি শব্দ
উচ্চারিত হলে তুমি তৃপ্ত হবে।
আমি শব্দের পিঠে শব্দ গেঁথে,
তোমাকে শোনাবো।
যে শব্দের জন্য যে ভাষার জন্য তুমি
৫২'র ফাল্গুনের দুপুরে কেড়ে নিলে
আমার ভাইদের!
নিষ্পাপ শিশুর পিতাদের,
দুঃখীনি মায়ের সন্তানদের,
ঐ তাজা টগবগে দেহের রক্তে কী
তোমার বুক জুড়ায়নি?
ঐ মায়েদের আহাজারি কী তোমার
হৃদয় মন্দিরে একবারও কড়া নাড়েনি?


তবে কেন হে বঙ্গভূমি আজো
তোমার লোলুপ দৃষ্টি বিছিয়ে রেখেছো
আপামর জনতার উপর,
৭১'এর শহীদের রক্তের দাগ
মুছতে না মুছতেই,
বীরাঙ্গনার কান্নার ধ্বনি বাতাসে
বিলীন হতে না হতেই,
এ আবার কেমন খেলা খেলছো?
তোমার বুকের মাঝে এতো পাপ
এতো ধব্ংস জমা করছো কেনো?


হে আমার মাতৃভূমি জননী!
আর একটি মৃত‌্যুও নয়,
আর একফোটা রক্তও নয়,
আর কোন আর্তচিৎকার নয়,
তোমার শীতল পরশে আমায় শান্ত কর;
তোমার বুকের প্রবাহিত জলে,
আজ মিটিয়ে দাও সকল তৃষ্ণা।


আর যদি চাও অশ্রু কিংবা রক্ত ফোঁটা
আমায় বলো,
আমি দিয়ে যাবো সর্বস্ব
তবু হে মা আমার-
তুমি শান্ত হও
শান্ত হও।