ঠমকি ঠমকি চলে রাই বিনোদিনী,
চরণে নূপুর তার বাজে রিনিঝিনি
কাঁখেতে কলসি চলে রাই গরবিনি,
সঙ্গেতে চলে যত ব্রজগোপিনী ।


কাঁখেতে কলসি চলে রাধিকা যমুনায়,
তমাল তরুর তলে কৃষ্ণ বাশুরি বাজায়
তরুছায়া তলে বসে শ্যাম বাঁশি সাধে,
কানুর বাশুরী শুধু বলে রাধে রাধে ।


বংশীধারীর বাঁশরী শুনে রাই লাজে মরে,
কি করে যাবে রাধে যমুনার তীরে
ব্রজবাসী সবে তারে বলে কলঙ্কিনী,
বাঁশরী না বাজাও তুমি শ্যাম গুনমণি ।


গোয়ালার ঝিয়ারি আমি করি বেচিকিনি,
কি করে বেচিব আমি দধি, দুগ্ধ, ননী
বৃষভানু নন্দিনী আমি আয়ান ঘরনী,
গৃহেতে রয়েছে মোর শাশুড়ি ননদিনী ।


আর না বাজাও বাঁশী ওহে নিলাজ কানাই,
এবার তোমার থামাও বাঁশী যমুনাতে যাই
গাগরী ভরনে যাব আমি এবার যমুনায়,
নন্দের দুলাল না যাইও তমাল তলায় ।