ছোটবেলায় ছেলেটার জ্বর হলে
আমরা দু'জন
রাত জেগে মাথায় জলপট্টি দিতাম পালা করে।
পূজার সময় নতুন জামা , জুতোয় সাজাতাম ......
নিজেদের অসাধ্যকে প্রশ্রয় দিয়ে।
ছেঁড়া শাড়ির আঁচল ছিঁড়ে পায়ের ক্ষত বেঁধে দিতাম ছেলেটার ।


সেদিন থেকে লোভ একটা ছিল বৌমা।
শেষ জীবনে
তোমার আঁচলের তলায় ক্লান্তি অবসানের।


তোমাকে ..... "বৌমা" বলে ডাকি।
কিন্তু তুমিতো আসলে মা !
ফিরিয়ে দিয়েছ আমাদের শৈশব।
জীবনের দ্বিতীয় শৈশব ।


পান থেকে চুন খসলেই রক্তচক্ষু ,
মায়ের শাসন........
সময় করে ওষুধ খাওয়া থেকে
রাত দশটার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়ার
কড়া হুকুম ।
আমাদের শরীর খারাপে
তোমার উতলা মন , না ঘুম রাত......
ভুলিয়ে দেয় অতীত কষ্ট ।


মন্দিরে পূজো দিতে গিয়ে
মাথা ঘুরে পড়ে গেলাম মাটিতে ।
যমে মানুষে টানাটানির পর বেঁচে গেলাম,
কিন্তু পা দুটো
অবশিষ্ট জীবনের জন্য অচল হয়েগেল ।


তোমার সচল পা দুটোতে ভর করে আমি হাঁটি বৌমা ।
মনে হয় আমি সেই শৈশবে,
আমার হাতের মুঠোয় মায়ের হাত !


মা .....
তুমি আমার ষাট বছর আগের মা
আমার শৈশবের মা ।


.