এবার,
শোনাও আমায় মৃতের হাহাকার-
আমি খুঁজি মৃত দিনের শেষে পাশবিক অন্ধকার।
কিন্তু দেখ কি আশ্চর্য!
আমার চারপাশে কিছু ডাঁশমাছি ওড়াওড়ি করে।
যখন আমি দেখি চারপাশ-
তখন আমার ঘরে
হঠাৎ কিছু ডাঁশ মাছি ওড়ে আমার চারপাশে।
তারা দাঁড়কাকের মত তাকায় আমার দিকে
যেন আমিও দাঁড়কাক,
মাঝেমাঝে ঠোকরায় বেশ টের পাই
তারপর পরবর্তী অতীতের কথা বলে এসে
তারা ওড়ে অন্ধকারে, গান গায়;
গান গায় একসাথে
ভয় পেলে করে একসাথে চিৎকার।
আমার নখের উপর বসে দাবি করে আমারই রক্তের অধিকার।
কিন্তু তারপর-
তারপর আমি জেগে উঠি
মাছিরা সুর তোলে
তাদেরও আছে মৌলিক প্রয়োজন
নড়ে উঠে আমার জিহ্বা তাদের ডানার মতন।
মাছিরা মুখ মোছে,
স্থির চোখে আরও চাই করে চিৎকার।
পরে মাছি আর মোমবাতি একসাথে ওড়ে
কাটাকাটি খেলে, দেয় চক্কর
চলে খেলা আজীবন।


অস্তিত্ব আমার
চেয়েছে
আঁধারের প্রার্থনায়
মূর্ছনা যন্ত্রণার।
অথবা বেঁচে থাকার পাশবিক অধিকার।