যেনবা এই ভিড় ঠেলে বের হলেই শান্তি। কিন্তু রাস্তায় যারা ভিক্ষা করে আর যারা পাগল তাদের চেয়ে আমি অনেক দ্রুত হাঁটি।তবুও দুপুরের শেষ দিক হলে আনন্দ লাগে এই দ্রুত হাটায়। মনে হয় হাইস্কুলের শেষ ক্লাসের আগের ক্লাস।তারপর আর একটা ক্লাস। রোদ নেমে যাবে, সবাই একসাথে যাবো বাড়ির দিকে। দুপুরের শেষ রোদ মাথায় নিয়ে মহল্লার সব মানুষ ঘুমায়। কিন্তু স্কুল শেষে বাড়ি ফিরেও কিহ যে তাড়া আমাদের। ক্লান্তি নেই, চিন্তা নেই। অপেক্ষা আছে, আসরের আযানের। ছোট্ট পাড়ার রাস্তা। আসরের আযান শুরু হলেই আমরা দলবেঁধে দৌড়ে নামি।ঐটুকু রাস্তাতেই খেলতে হবে।তার বাইরে যাওয়া নিষেধ। আজ তার এগারো বছর এখনও বিকেলের দৌড়ে আছি, রাস্তার নিষেধাজ্ঞা নেই কিন্তু কিহ বিশ্চিরি ক্লান্তি, চিন্তা। অপদস্তের অপমান মাথার উপর। নিজেকে পরিচয় করিয়ে দিতে গেলে দেখি কাগজে কলমে কোথাও নামধাম জুতসই নেই। গুরুত্ব দিয়ে তাকাবার মতোন কিছু নেই। কথায় নজর আনতে যতখানি গলার শক্তি সেও নেই।কেবল এত এত লেখা। এত এত বই। আমি আর বই নিশ্চুপ পাশাপাশি ঘুমিয়ে থাকি। পড়ার সময় নেই। এমন একটা ছোটলোকের জীবন, অসম্মানের ভাত।তাও কেবল একটা অযথা পাতা ঝরার দৃশ্য মনে রেখে দেই।হাজার হাজার পাতা উড়ে যাচ্ছে কোথাও। হাজার হাজার পাতা ঝরা রাস্তা দিয়ে বাড়ি ফিরছি ভাত খেতে...