আগের জন্মে ঘোড়া ছিলাম। খুব সম্ভবত খুব শক্তিশালী হবার আগে শিকার বা বাঘের কবলে মরা যাই। তারপর তিনজন্ম গেলো পিঁপড়ের।প্রতি জন্মের কাল একটা চিনি দানা। তৃতীয়বার মরেও ছিলাম চিনি দানার ভেতর ডুবে। এজন্য তারপরো জন্মে রাজ বংশের নারী যোদ্ধা হয়ে ছিলাম। রাজকীয় জীবন ছিলো। পলঙ্কের স্বাদ আমার এজন্ম অব্দি আছে। একদিন যুদ্ধে গিয়ে এক যুবকের প্রেমে পড়েছিলাম।তার জন্যে যুদ্ধে হেরে মরে গেছিলাম। একদিন কোলে মাথা রেখে চাঁদ দেখেছিলাম তাই সে চোখে আকাশ দূরের হয়ে এলো। এ জন্মে তাকে আমি দেখেছি। জড়িয়ে ধরেছি। গতজন্মের চেয়ে এ জন্মে সে আরো রাগান্বিত, আরো উদ্বিগ্ন। তাই এ জন্মে তাকে ফেরাতেই হলো।তার অনেকশ বছর পর জন্মেছিলাম ইরাক বা তুরস্কে। একটা লাল পাথরের মসজিদের শহর দেখি। সাধা পাঞ্জাবি পরা একটা বাচ্চা ছেলে দৌড়ে যায়, অনেক শত্রু তার। একটা কালো নদী পেরোতে গিয়ে ভেসে গেলো।
কবিতাটি ৪৮৪ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের সময়: ৩০/০৯/২০২১, ১৯:৪৬ মি: